ওপেন করতে নামছে সেই জুটি। শচীন টেন্ডুলকার-বীরেন্দ্র শেবাগ। উল্টো দিক থেকে বল হাতে দৌড় শুরু করেছেন ওয়াসিম আক্রম, অ্যালান ডোনাল্ড। শেবাগের (২২ বলে ৫৫) দুরন্ত ইনিংসের পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন কে? নামটা ব্রায়ান চার্লস লারা।
কিংবদন্তি সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে শচীনের দল এসে থামল ২০ ওভারে ১৪০ রানে। শেবাগের পরে সর্বোচ্চ রান শচীনেরই (২৭ বলে ২৬)। কিন্তু কিংবদন্তি সিরিজের প্রথম ইনিংসে নায়ক কিন্তু এঁরা কেউ নন। নায়কের নাম শেন ওয়ার্ন। শচীন এবং লারা দু’জনকেই তুলে নিয়ে। নিলেন তিন উইকেট।
শেষ পর্যন্ত রান তাড়া করতে নেমে ১৭.২ ওভারেই ৬ উইকেটে জিতল ওয়ার্নের দল। সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের (অপরাজিত ৪৮)।
বাইশ গজের নাটক শুরু হওয়ার আগে থেকে অবশ্য মাঠের বাইরের নাটকের কমতি ছিল না। টিম বাছার লটারি হওয়ার আগে থেকেই টেনশনে ছিলেন তিনি। কী জানি কী হবে। শোয়েব আখতার আগেই অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিলেন— ‘‘শচীন, প্লিজ আমাকে তোমার দলে নিও।’’ শেষ পর্যন্ত শোয়েবের চাহিদা অবশ্য পূরণ হয়েছে। শচীনের দলেই সুযোগ পেয়েছেন শোয়েব। কিন্তু শচীনের দলেই কেন? কেন প্রতিদ্বন্দ্বী শেন ওয়ার্নের টিমে নয়?
জবাবটা শোয়েব আখতার দিয়েছেন শনিবার অলস্টারস টি- টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ শুরুর আগে। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেছেন, শচীনের বিরুদ্ধে অনেক বল করেছি। গত ১৫ বছর ধরে করেছি। আর করতে চাই না। তাই চেয়েছিলাম শচীনের দলে থাকতে।’’
এই অভিনব তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে শচীন আগে বলেছিলেন, ‘‘আমরা শুধু একটা সাবেকদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করতে চাইনি, আমরা চেয়েছি যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের প্রচার করতে। বিশ্বকাপকে আরও আকর্ষণীয় করতে গেলে আমাদের আরও বেশি টিম দরকার।’’
অবিশ্বাস্য এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রথম বল পড়ার আগে অবশ্য মাঠের বাইরে নানা মজার ঘটনার কোলাজ উঠে আসছে। যেমন দিন দু’য়েক আগে শচীন টুইট করেছিলেন, ‘‘অ্যালান ডোনাল্ড ওর পাসপোর্টটা হারিয়ে ফেলেছে। কেউ পেলে দয়া করে ফেরত দিয়ে যাবেন।’’ আবার জানা যাচ্ছে, গ্লেন ম্যাকগ্রার লাগেজ বিমান কোম্পানির সৌজন্যে নিউইয়র্ক এসে পৌঁছয়নি। দু’দিন ধরে নিজের জিনিসপত্র ছাড়াই চলতে হচ্ছে ম্যাকগ্রাকে।
লটারির মাধ্যমে দুটো টিম বাছার সময় যখন দেখা যাচ্ছিল শচীনের দলে একের পর এক নাম উঠছে সৌরভ, শেবাগ লক্ষ্মণের নাম, তখন শচীন মন্তব্য করেন, ‘‘আরে এটা তো দেখছি ভারতীয় টিম হয়ে যাচ্ছে।’’ শচীন’স ব্লাস্টার্সে যদি ভারতীয় ক্রিকেটের ছায়া থাকে, তা হলে উল্টো দিকে ওয়ার্ন’স ওয়ারিয়র্স টিমে দেখা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের প্রাধান্য। যেমন ওয়ার্নের সঙ্গে রয়েছেন হেডেন, পন্টিং, সাইমন্ডসরা।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব