বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তাজিকিস্তানের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশে। স্বাগতিকদের হয়ে ম্যাচের গোল ৫টির ৪টিই করেন ফরোয়ার্ড জালিলভ। অপর গোলটি নাজারভের। এর আগে, ঢাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল তাজিকিস্তান। ওই ম্যাচ থেকেই একমাত্র পয়েন্টটি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বে ছয় ম্যাচে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম হার। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর কোচ ফাবিও লোপেজ দুই ম্যাচেই হারলেন। আগের ম্যাচে কিরগিজস্তানের মাঠে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
শুরুর একাদশে নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর অনুপস্থিতি, ফরোয়ার্ড আবুল বাতেন মজুমদারের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানোর কৌশলও কাজে দেয়নি। প্রথমার্ধের খেলায় তাই স্বাগতিকদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল।
ষষ্ঠ মিনিটে জালিলভের শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। তবে জামাল ভূইয়াদের নিষ্ক্রিয় করে রেখে মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া স্বাগতিকরা ১৬তম মিনিটে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রস থেকে পাওয়া বলে প্লেসিং শটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন জালিলভ।
এর ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় তাজিকিস্তান। সতীর্থের ডিফেন্সচেরা পাসে বল নিয়ে দ্রুত বাংলাদেশের বক্সে ঢুকে যায় জালিলভ। ফরোয়ার্ড থেকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়ে যাওয়া কমল স্লাইড করলেও বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। সোহেলকে আয়েশী শটে পরাস্ত করেন স্কোরলাইন ২-০ করেন তাজিকিস্তানের এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় তাজিকিস্তান। বক্সের মধ্যে নাসিরুল ইসলাম জালিলভকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও নাজারভের জোরাল শট ফেরাতে পারেননি সোহেল।
ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে মোহাম্মদ রনিকে তুলে নিয়ে মাশুক মিয়া জনিকে নামান লোপেজ। চার মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন জালিলভ। ফ্রি-কিক থেকে তাজিকিস্তানের এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া হেড প্রথমে পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়; এরপর সোহেল তা গ্লাভসবন্দি করার আগে তড়িৎ ছুটে গিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশের একটি আক্রমণ প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে ফেরানোর পর ৭৩তম মিনিটে জালিলভ ব্যক্তিগত চতুর্থ গোলে তাজিকিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
বাছাই পর্বের পরের ম্যাচে ১৭ নভেম্বর নিজেদের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
বিডি-প্রতিদিন/১২ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব
