চতুর্থ দিন শেষেই ড্রয়ের সম্ভাবনায় ছিল পার্থ টেস্ট। তার সঙ্গে শেষ দিনে যোগ হলো বৃষ্টি। যার একমাত্র পরিণতি শেষ পর্যন্ত ড্রই হয়েছে পার্থ টেস্ট। এ টেস্টের মাঝপথে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো মিচেল জনসন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ২৯ রানের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের দু’টি উইকেটই তুলে নেন ৩৪ বছর বয়সী এ বাঁহাতি পেসার।
আগের দিনের করা দুই উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে মঙ্গলবার ব্যাটিংয়ে নামে অজিরা। ১২ রান যোগ হতেই স্টিভেন স্মিথ (১৩৮) ও অ্যাডাম ভোজেসের (১১৯) ২২৪ রানের জুটি ভাঙে। সাত উইকেটে ২৮৫ রান তোলার পরই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য কিউইদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮ ওভারে ৩২১ রান।
তবে ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সফরকারীরা। যদিও ৪৪ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার টম লাথাম (১৫) ও মার্টিন গাপটিলকে (১৭) সাজঘরে পাঠিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ধীর গতিতে ব্যাট করতে বাধ্য করেন মিচেল জনসন।
এরপর অবশ্য প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক কেন উইলিয়ামসন (৩২) ও রস টেইলরের (৩৬) ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের পার্টনারশিপের পর ২০ ওভার বাকি থাকতেই দু’দলের অধিনায়ক ড্র মেনে নেন।
স্কোর: অস্ট্রেলিয়া – প্রথম ইনিংস ৫৫৯/৯ ডিক্লেয়ার; ওয়ার্নার ২৫৩, উসমান খাজা ১২১ ও মার্ক ক্রেইগ ১২৩/৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংস ৩৮৫/৭ ডিক্লেয়র; স্টিভেন স্মিথ ১৩৮, অ্যাডাম ভোজেস ১১৯ ও টিম সাউদি ৯৭/৪।
নিউজিল্যান্ড – প্রথম ইনিংস ৬২৪; রস টেইলার ২৯০, কেন উইলিয়ামসন ১৬৬ ও মিচেল স্টার্ক দ্বিতীয় ইনিংস ১১৯/৪ এবং ১০৪/২ (২৮ ওভার)।
উল্লেখ্য, ট্রান্স-তাসমান ট্রফির তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-০ তে এগিয়ে স্মিথ-ওয়ার্নাররা। আগামী ২৭ নভেম্বর অ্যাডিলেডে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। সিরিজ হার এড়াতে তাই জয়ের কোনো বিকল্প নেই নিউজিল্যান্ডের।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব