আতশবাজির লাল-নীল আলোয় জ্বলে উঠলো মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দেশি-বিদেশি শিল্পীদের গান আর নাচের মধ্যে দিয়ে জমকালো উদ্বোধন হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। শুক্রবার রাত ৮টায় বিপিএল থ্রি'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছিলেন বিপিএলের ছয় দলের পাঁচ আইকন ক্রিকেটার। রংপুর রাইডার্সের সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে উপস্থিত ছিলেন সৌম্য সরকার।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিপিএল উদ্বোধন করে বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। এই যাত্রা আরও এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা থাকল।'
বিসিবি সভাপতি বলেন, 'আমরা যেভাবে ওয়ানডেতে ভালো খেলছি, সেভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে পারছি না। এই ফরম্যাটটা আমরা রপ্ত করতে পারছি না। আগামী বছরেই এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এই দুই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বিপিএল আয়োজন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এবারের বিপিএলে ১৪০ জনেরও বেশি ক্রিকেটার অংশ নিচ্ছেন। আমি নির্বাচকদের বলব- এই টুর্নামেন্ট থেকে যেন ভালো দুই-একজন ক্রিকেটারকে জাতীয় দলের জন্যে বেছে নেওয়া হয়।'
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। মঞ্চে আসেন নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। এরপরই মঞ্চে উঠে আসেন আইয়ুব বাচ্চু। সন্ধ্যা ৫ টা ৪০ মিনিট থেকে ৬ টা ২০ পর্যন্ত মঞ্চ মাতান আইয়ুব বাচ্চু ও তার ব্যান্ড এলআরবি।
এলআরবির পর স্টেজে আসেন ব্যান্ডদল চিরকুট। ৩০ মিনিট পারফর্ম করেন তারা। সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে মঞ্চে আসেন শিল্পী মমতাজ। স্টেজ মাতিয়ে রাখেন এক ঘণ্টা। মমতাজের বিদায়ের পর বিপিএল'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময়ে আতশবাজির আলোয় আলোকিত হয় মিরপুরের আকাশ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর বিদেশি তারকাদের পারফম্যান্স শুরু হয়। প্রথমেই মঞ্চে আসেন জয়প্রিয় শিল্পী কেকে। ৮ টা ১০ মিনিটে কেকে মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস বেড়ে যায় দর্শকদের। কেকের পারফরম্যান্সের পর মঞ্চে আসবেন জ্যাকুলিন ফার্ন্দানেজ ও হৃতিক রোশন।
বিডি-প্রতিদিন/২০ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ