বিপিএলের তৃতীয় আসরের ফাইনালে কুমিল্লার বিপক্ষে বরিশাল প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সংগ্রহ করেছে ১৫৬ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে বুলসের ওপেনার মেহেদি মারুফ এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। আসহার জাইদির বলে সাজঘরে ফেরেন মারুফ। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে একটি ছক্কায় ১১ রান করেন মারুফ।
দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার মেহেদি মারুফ ফিরে গেলে ব্যাট হাতে নামেন টাইগার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। আরেক ওপেনার সেকুজে প্রসন্নের সঙ্গে জুটি বাধেন রানে ফেরা সাব্বির। তবে, ইনিংসের অষ্টম ওভারে বিদায় নেন প্রসন্ন। ব্যাটে দারুণ ঝড় তুলে স্টিভেন্সের বলে বোল্ড হওয়ার আগে লঙ্কান তারকা প্রসন্ন ১৯ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেন।
বরিশাল প্রথম ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ৬৭ রান।
বরিশালের সমর্থকদের আরেকটি বড় ইনিংসের দাবী পূরণ করতে পারেননি সাব্বির। গত দুই ম্যাচের মতো ফাইনালের মঞ্চে হাসেনি তার ব্যাট। মাশরাফির করা ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন সাব্বির (৯)। দলকে কিছুটা পিছিয়ে রেখে সাব্বির বল মোকাবেলা করেন ১৯টি। তার বিদায়ে ব্যাট হাতে আসেন দলপতি মাহামুদুল্লাহ।
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে দলীয় ৬৮ রানের মাথায় হারায় বরিশাল বুলস। এরপর বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়ে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ব্যাটসম্যান মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ এবং শাহরিয়ার নাফিস। ২৭ বলে তারা দু’জন স্কোবোর্ডে আরও ৫০ রান যোগ করেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৯৭ ম্যাচ খেলা মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ এ ম্যাচের মধ্যদিয়ে দেড় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
শেষ ওভারে বিদায় নেন বরিশাল দলপতি মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। কুলাসেকারার বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন। অর্ধশতক থেকে দুই রান দূরে থাকতে আউট হলেও তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার আর একটি ছক্কা।
শাহরিয়ার নাফিস ৩১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার। কেভিন কুপার দুটি বল মোকাবেলা করে ৭ রান অপরাজিত থাকেন।
কুমিল্লাহ হয়ে ৪ ওভার বল করে মাশরাফি ২৮ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। ৪ ওভারে জাইদির খরচ হয় ২৬ রান, দখল করেন একটি উইকেট। ৪ ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেননি আবু হায়দার। স্টিভেন্স ৩ ওভারে ১৯ ও নাঈম জুনিয়র এক ওভারে ৯ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শূন্য। লঙ্কান পেসার কুলাসেকারা ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে একটি উইকেট তুলে নেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন