মেসি, নেইমার, সুয়ারেজের নেতৃত্বে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আক্রমণভাগ স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার, যার নামই হয়ে গেছে এমএসএন ত্রয়ী। কিন্তু ক্লাব কাপের সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এ ত্রয়ীর দু’জনই দলে ছিলেন না। কিন্তু তাতে কি! একজন তো আছেন। বৃহস্পতিবার জাপানের ইয়োকোহামায় নিশান স্টেডিয়ামে এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকে চীনের ক্লাব গুয়াংজো এভারগ্রান্দেকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
কুঁচকির ইনজুরিতে আগে থেকেই দলে ছিলেন না নেইমার। এর সঙ্গে বৃহস্পতিবার ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে তলপেটের ব্যথায় দল থেকে ছিটকে পড়েন মেসি। তবে সুয়ারেসের দাপটে কোনোরকম দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টদের।
এদিন, শুরু থেকেই গুয়াংজো এভারগ্রান্দেকে চাপে রাখা বার্সেলোনা নিজের প্রথম গোলটি পায় ৩৯তম মিনিটে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ইভান রাকিতিচের শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ফিরতি বল পেয়ে কাছ থেকে জালে জড়ান লুইস সুয়ারেজ।
দুই মিনিট বাদেই সমতায় ফিরতে পারতো এভারগ্রান্দে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এলকেসনের দারুণ এক হেড দুর্দান্তভাবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুয়ারেজ। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন সুয়ারেজ।
মেসি-নেইমারের অনুপস্থিতিতে দলের এমন জয়ে নির্ভার কাতালানরা।
মেসি-নেইমার ছাড়াও যে বড় জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি তাদের! তাই আগামী ২০ ডিসেম্বর ফাইনালে আর্জেন্টিনার রিভার প্লেটের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে বার্সেলোনা বাহিনী।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব