ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪ অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিলে। আর এই আসরে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত অনেক কিছুই হারাতে হয়েছে ব্রাজিলকে। তুলনামূলক বেশি আশা করেছিলেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। আর সেই আশার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নেইমার জুনিয়র।
সে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে স্তাদিও ক্যাসতেলাওয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি ব্রাজিল। ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থর কাছ থেকে উড়ে আসা এক পাস ধরতে যান নেইমার। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে লাফিয়ে ওঠে হেড করতে যান কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার হুয়ান জুনিগা। সেখানেই বাধে বিপত্তি! জুনিগার হাটুর আঘাতে মাঠেই
লুটিয়ে পড়েন নেইমার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রাজিলিয়ান এই তারকার মেরুদণ্ডের কশেরুকা।
ভয়ঙ্কর ইনজুরির শিকার হয়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান নেইমার। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সেনসেশন। পূনর্বাসনের সেই সময়টা তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এক সময় হয়ে আছে। প্লেয়ার্স ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তা নিজেই জানিয়েছেন নেইমার।
এই ব্যাপারে নেইমার বলেন, সেই ইনজুরির সময়টাতে টানা এক সপ্তাহ কেঁদেছি। সেই একটা সপ্তাহ ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। আমি মা-বাবাকেও কাঁদতে দেখেছি। আমার ইনজুরির কষ্ট সবাইকেই ছুঁয়ে গেছে।
দুই পায়ের কোনোটাই তুলতে পারতাম না। এমনকি নাড়াতেও পারতাম না। পায়ে কোনও কিছু অনুভূত হত না। এই ব্যাপারটা প্রচণ্ড বেদনাদায়ক ছিল। ডাক্তাররা বলেছিলেন সেরে উঠলে আমি কেবল হাঁটাচলা করতে পারব। কশেরুকার আর দুই সেন্টিমিটার ভেতরে আঘাত পেলেই আমার ক্যারিয়ার চিরতরে শেষ হয়ে যেত।
বিডি প্রতিদিন/৩০ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত