দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরই টাইগারদের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এরপরই থেকেই চলছে নতুন কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া। কিন্তু সামনে ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলতে নামছেন মাশরাফিরা। এর আগে নতুন কোচ পাচ্ছেন না তারা। তাই দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধেই নিতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের।
অবশ্য সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আসন্ন এই দুই সিরিজে দল কীভাবে চলবে সে বিষয়ে বিপিএল শেষে মাশরাফি, সাকিব, মুশফিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল বিসিবি।আলোচনা শেষে টাইগারদের এই তিন সিনিয়র ক্রিকেটার পাপনকে জানিয়েছিলেন হেড কোচ না হলেও সমস্যা হবে না। স্থানীয়দের কোচিং স্টাফ নিয়েই তারা কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।
মাশরাফি, সাকিবের সাথে সোমবার আবারও রাজধানীর বেক্সিমকোতে নিজ কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন পাপন। আলোচনা শেষে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে আসন্ন দুই সিরিজেই কোচের ভূমিকায় থাকবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান এবং নতুন এই দায়িত্ব পালনে তারা বেশ আত্মবিশ্বাসীও।
সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি অবগত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই, ‘এই সিরিজে বাইরে থেকে কোনো কোচ আসছে না। এই সিরিজটাই শুধু। পরের সিরিজের আগে অবশ্যই কোচ নিয়ে আসতে পারলে নিয়ে আসব। এবার কোচ হচ্ছেন সাকিব ও মাশরাফি। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ওরা বেশ আত্মবিশ্বাসী যে এই সিরিজ নিজেরাই সামলাতে পারবে। এবার তাই ক্রিকেটাররাই কোচ। এছাড়া সাপোর্ট স্টাফ যারা আছে, তারা তো থাকবেই।’
একই প্রসঙ্গে পাপন আরও বলেন, ‘বোর্ড থেকে যে প্রতিনিধি থাকে, সাপোর্ট সার্ভিস যা থাকে, সেরকমই থাকছে। পাশাপাশি আমাদের খালেদ মাহমুদ সুজন, যে সবসময় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত, বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা ইন্টারলিংক হিসেবে কাজ করত, সেটায় সে থাকছে। যেহেতু সে থাকছে, তাকে একটা পদবি দিয়ে রাখা হচ্ছে।’
বিডিপ্রতিদিন/ ০২ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান