ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পতুগীজ এই উইঙ্গারের শৈশব কেটেছে পর্তুগালের ফুনচাল মাদেইরার আঙিনায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের নাম থেকে বাবা-মা তার নাম রাখেন রোনালদো। সময়ের ব্যবধানে সেই রোনালদো এখন ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। ৩২ মিলিয়ন ইউরো যার পারিশ্রমিক। ফুটবল মাঠে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষে রক্ষণভাগকে দুমড়ে মুচড়ে দেন তিনি। জয় করেছেন বিশ্বের সব সেরা ও শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারগুলোও। নামের পাশে যুক্ত হয়েছে কতশত রেকর্ড আর কীর্তি।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একক সব ট্রফি নিয়ে ফ্রেমবন্দী হয়েছেন পর্তগিজ আইকন। এমন ছবি তুলতে পারবেন তা কখনো কল্পনাও করেননি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
পঞ্চম ব্যালন ডি’অর (বর্ষসেরার খেতাব) জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে ছুঁয়ে ২০১৭ সাল শেষ করেছেন ৩২ বছর বয়সী রোনালদো। তার শোকেসে ব্যক্তিগত একক পুরস্কারের কমতি নেই। ফিফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর মর্যাদাপূর্ণ সব শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফিতে পরিপূর্ণ। এখানেই থামতে চান না রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার।
রেলিংয়ের উপর বসে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর, চারটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু, দু’টি ‘ফিফা দ্য বেস্ট’, ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার (আগের নামকরণ) ও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার সামনে রেখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন রোনালদো। পেছনে পাহাড়, সমুদ্র ও খোলা আকাশ। সত্যিই ছবিটি এক কথাই চমৎকার। এমন মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে রাখা যে কারোও জন্যই স্বপ্নের মতো।
সোস্যাল মিডিয়ায় ট্রফিময় ছবিটি সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন রোনালদো। ক্যাপশনে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘মাদেইরার (জন্মস্থান) রাস্তায় যখন খেলতাম, একদিন ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতাম। কখনো এরকম ছবি তুলতে পারবো কল্পনাও করিনি।’
‘আমি এটিকে উৎসর্গ করছি সর্বোপরি আমার পরিবার, বন্ধু, টিমমেট, কোচ যাদের কাছ থেকে শিখেছি এবং তাদের প্রতি যাদের সঙ্গে ক্লাব ও ন্যাশনাল টিমে কাজ করেছি। সবশেষে আমার সমর্থকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ট্রফিগুলো তাদের জন্যও।’-যোগ করেন রোনালদো।রোনালদোর সব অ্যাওয়ার্ড ও ট্রফিগুলো হোমটাউন মাদেইরাতে তার ব্যক্তিগত জাদুঘরে সংরক্ষিত।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান