তারুণ্যের চাপে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) জায়গা পাননি এক সময়ের বিশ্ব কাঁপানো অনেক তারকা। সেই বাতিলদের নিয়ে একাদশ তৈরি করলে তারা কড়া চ্যালেঞ্জে ফেলে দেবে যে কোন দলকেই। দেখে নেওয়া যাক কেমন হবে সেই বাতিলদের একাদশ।
অ্যালেক্স হেলস: ওপেনার হিসেবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারকে রাখা চলে। টি-২০তে ১৩৬ এর উপর স্ট্রাইক রেটের এই ব্যাটসম্যানের একটি অপরাজিত সেঞ্চুরিও রয়েছে।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম: এবারের নিলামে দল না পাওয়ার তালিকায় এই নামটা বোধ হয় সব থেকে চমকপ্রদ। প্রথম আইপিএলে কলকাতার হয়ে তাঁর সেই শতরান এখনও টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৩৭ বছরের ম্যাককালাম এখনও সত্যিই বড় নাম।
মনোজ তিওয়ারি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম ভাগ্যহীন ক্রিকেটার বলা হয় তাঁকে। সেঞ্চুরি করেও বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। মিডল অর্ডারের জন্য মনোজ অন্যতম পছন্দ।
সৌরভ তিওয়ারি: ২০১০ সালের আইপিএলে মুম্বাইয়ের হয়ে নজর কেড়েছিলেন। সেইবার বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ ইনিংসও ছিল সৌরভের। দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা আছে।
রিজা হেন্ডরিক্স: দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটারকে টি-২০ স্কোয়াডের অন্যতম সেরা বলে অনেকে মনে করেন। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন টি-২০ লিগ মিলিয়ে ইতিমধ্যেই খেলে ফেলেছেন শ’খানেকের বেশি ম্যাচ। মূলত ওপেনার হলেও মিডল অর্ডারেও ভালই খেলেন। স্ট্রাইক রেটও বেশ ভাল।
নমন ওঝা: ২০০৯ সাল থেকে আইপিএল খেললেও এবার দল পাননি। এখন পর্যন্ত ১১৩টি আইপিএল খেলা ওঝাকেই আমাদের এই দলে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হল।
ঋষি ধাওয়ান: এই দলে দু’জন অলরাউন্ডার ডাক পেতে পারেন। এর মধ্যে এক জন ঋষি। ২০১৬ সালে শেষবার আইপিএলের জার্সি পরেছিলেন তিনি।
পারভেজ রাসুল: জম্মু-কাশ্মীর থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারকে ঘিরে এক সময় আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, ক্রমেই তিনি হতাশ করতে থাকেন নির্বাচকদের। এবার আইপিএলেও দল পাননি। তিনি দলে থাকছেন স্পিনার অলরাউন্ডার হিসাবে।
রাহুল শর্মা: স্পিনার হিসাবে দল থাকতে পারেন। ৪৪টি আইপিএল খেলা রাহুলের শেষ ম্যাচ ২০১৪ সালে।
ডেইল স্টেন: দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসরটির দল না পাওয়া বেশ বিস্ময়ের। ফর্মে থাকলে একাই শেষ করে ফেলতে পারেন বিপক্ষকে।
বিনয় কুমার: ভারতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটা একদিনের ম্যাচ এবং টি-২০ খেলা বিনয় কুমারও এবার দল পাননি। তবে নিজের দিনে এখনও পেস ভেরিয়েশনে চমকে দিতে পারেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ