মিন সন-হ্যারি কেনের জোড়া গোল, ২০ গজ দূর থেকে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের দুরন্ত ভলি সবমিলিয়ে টটেনহ্যাম তাদের সমর্থকদের বড় জয় উপহার দিয়ে জানান দিলেন কোচকে নিয়ে কানাঘুষো শোনা গেলেও তাদের ফোকাস এতটুকু নড়েনি।
রবিবার রাতের অ্যাওয়ে ম্যাচে এভার্টনকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে টটেনহ্যাম কোচ পোচেত্তিনো জানালেন, ‘গুজবের মাঝেও আমাদের সম্পূর্ণ ফোকাস ছিল নিজেদের প্রতি।’ মরিনহো বিদায়ের পর কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল পোচেত্তিনো নাকি বসতে পারেন ম্যান ইউয়ের হট সিটে। জল্পনা উড়িয়ে ম্যান ইউতে পর্তুগিজ কোচের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ক্লাবেরই সাবেক সোল্কজায়ের।
এদিন এভার্টনের ঘরের মাঠে এদিন শুরুটা ভাল হয়নি লন্ডনের ক্লাবটির। ম্যাচের ২১ মিনিটে থিও ওয়ালকটের গোলে খেলার গতির বিরুদ্ধে ম্যাচে লিড নেয় এভার্টন। যদিও নিজেরাই ছ’মিনিট বাদে টটেনহ্যামকে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়। গোলরক্ষক পিকফোর্ড ও ডিফেন্ডার জৌমার ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে অরক্ষিত ফাঁকা গোলে বল জড়াতে ভুল করেননি কোরিয়ান মিন সন।
৩৫ মিনিটে মিন সনের শট পিকফোর্ড প্রতিহত করলে ফিরতি শটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডেলে আলি। এরপর ৪২ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন স্পারস অধিনায়ক হ্যারি কেন। ট্রিপিয়ারের দুরন্ত ফ্রিকিক এক্ষেত্রে পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল ফাঁকা গোলে ঠেলে দেন কেক। ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় টটেনহ্যাম।
বিরতি থেকে ফিরেই ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় লন্ডনের ক্লাবটি। বক্সের মধ্যে এভার্টন ডিফেন্ডারের ক্লিয়ার করা বল ২০ গজ দূর থেকে দুরন্ত ভলিতে তিন কাঠিতে রাখেন এরিকসেন। যদিও ৫১ মিনিটে একক দক্ষতায় দুরন্ত গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন সিগার্ডসন। তবে উল্টোদিকে গোলের ধারা অব্যাহত রাখে পোচেত্তিনোর ছেলেরা।
৬১ মিনিটে পরিবর্ত এরিক লামেলার থ্রু ধরে নিজের দ্বিতীয় দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন মিন সন। ৭৪ মিনিটে দলের শেষ গোলের পিছনেও অবদান রাখেন এই দক্ষিণ কোরিয়ান স্ট্রাইকার। বাঁ দিক থেকে তাঁর বাড়ানো বলে পিকফোর্ডকে বোকা বানিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে যান কেন।
এই জয়ের ফলে চেলসির থেকে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে লিগে নিজেদের জায়গা মজবুত করল টটেনহ্যাম। ১৮ ম্যাচ থেকে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে তারা। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ছয় ও দ্বিতীয়স্থানে থাকা ম্যান সিটির চেয়ে দু’পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অর্থাৎ বলাই যায়, চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ফের দারুণভাবে চলে এল স্পারস।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত