কাতার বিশ্বকাপের আগেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সম্পর্কের অবনতি হয়। চলতি মৌসুমে এক গোল করেছিলেন তিনি। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই বেঞ্চে কেটেছে তার। তাই কোচের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে রেড ডেভিলদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। পরে পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপে কেবল একটি গোল করেছিলেন পেনাল্টি থেকে।
বিশ্বকাপ শেষে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে নাম লিখিয়ে পুরো বিশ্বে হইচই ফেলে দেন রোনালদো। ২১৩ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক পারিশ্রমিকে আল নাসেরের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি করেন রোনালদো। যার ফলে ৩৭ বছর বয়সেও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত ফুটবলারে পরিণত হন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর ও সমান সংখ্যক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নিজেদের মাঠ মারসুল পার্ক স্টেডিয়ামে রোনালদোকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় হাজারও ভক্তের সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন তিনি।
সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেয়ার পর থেকেই সমালোচকরা বলে আসছিলেন রোনালদো ফুরিয়ে গেছেন। তার কাছে কোনও ক্লাবের প্রস্তাব না থাকায় আল নাসেরে যোগ দিয়েছেন তিনি। এমন প্রশ্নের জবাবে রোনালদো বলেন, ‘আমার কাছে এটা নতুন প্রজন্মের মানসিকতা পরিবর্তনের এটা দারুণ সুযোগ। ইউরোপ, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার ক্লাবে যোগ দেয়ার প্রস্তাব আমার কাছে ছিল। তবে আমি এই ক্লাবকে বেছে নিয়েছি। কারণ আমি বিশ্বের এই অঞ্চলের ফুটবলের উন্নতি চাই। আমার অভিজ্ঞতা কাজ লাগিয়ে এখানের ফুটবলের উন্নতি করতে চাই। সঙ্গে নারীদের ফুটবলের উন্নতিতে সকলের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে চাই।’
সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আফসোস নেই বলে জানিয়েছেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এখানে বেশ ভালো লাগছে। আমার সিদ্ধান্তে আমি গর্বিত। ইউরোপে আমার কাজ শেষ। আমি প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাবের হয়েই খেলেছি। এবং সব কিছু জিতেছি।’
‘এখন আমার নতুন ঠিকানা আল নাসের। এশিয়া আমার নতুন চ্যালেঞ্জ। আল নাসেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য। আমি আনন্দিত এবং গর্বিত।’
আল নাসেরে যোগ দেয়ার বিষয়ে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার আমার সিদ্ধান্তে খুশি। তারা সকলেই আমাকে সমর্থন দিয়েছে, বিশেষ করে আমার সন্তানরা। এখানে আসার পর সকলের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। সৌদি আরবের সকলেই খুবই আন্তরিক।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ