ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কান ব্যাটার হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের দুই মহিরুহ কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনেকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি।
মাহেলা জয়াবর্ধনে ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ও কুমার সাঙ্গাকারা ২০০৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। বৃহস্পতিবার পুনেতে ২০ বলে ৫০ রান ছুঁয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন শানাকা।
এদিন ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতায় ফিরেছে শ্রীলঙ্কা। ২০৬ রান তাড়ায় ভারত থেমেছে ৮ উইকেটে ১৯০ রান তুলে।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের রাস্তায় হাঁটেন লঙ্কান ব্যাটাররা। ৮০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েন পাথুম নিশঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। একপর্যায়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান চাহাল। তার ডেলিভারিতেই ৫২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল।
মাঝের ওভারগুলোতে বিপক্ষ ব্যাটারদের উপর চাপ তৈরি করেন উমরান মালিকরা। পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান তিনি। পরে অধিনায়ক দাসুন শানাকা যখন ক্রিজে এলেন তখন ১৩.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৪ উইকেটে ১১০। কিন্তু ২০ ওভার শেষে রানটাকে ২০৬ বানিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক।
নিজের দেশের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতরান করেন শানাকা। ২২ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ বেলায় তার ইনিংসই শ্রীলঙ্কাকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেয়। এছাড়া পাতুম নিশঙ্কা ৩৩ রান ও আশালঙ্কা করেন ৩৭ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন ইশান কিষাণ। একই ওভারের শেষ বলে ফিরতে হয় শুভমন গিলকেও। এদিনের ম্যাচে অভিষেক হওয়া রাহুল ত্রিপাঠীও নজর কাড়তে পারেননি। পাঁচ রান করেন তিনি।
পাওয়ার প্লের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইনিংসের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেল। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান ভারতীয় অলরাউন্ডার। ৫১ রান করেন সূর্যও। শেষের দিকে ২৬ রানের দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস খেলেন শিবম মাভি। কিন্তু ১৯০-তে থেমে যায় ভারত।
বিডি প্রতিদিন/এমআই