বৃষ্টির জেরে প্রথম দিন মাত্র ৫৯ ওভার খেলা হলো। তার মাঝেই ৮ উইকেট পড়ে গেল ভারতের। লোকেশ রাহুল ছাড়া ভারতের কোনো ব্যাটার বড় রান করতে পারলেন না। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই চাপে পড়ে ভারত। খেলা শেষ হওয়ার সময় ভারতের রান ৮ উইকেটে ২০৮। এই ৮ উইকেটের মধ্যে পাঁচ উইকেটই নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা।
মঙ্গলবার সেঞ্চুরিয়ানে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল শুরু থেকে সমস্যায় পড়ছিলেন। একপর্যায়ে রাবাদার বলে পুল মারার লোভ সামলাতে না পেরে ৫ রান করে আউট হন রোহিত।
যশস্বী কয়েকটি ভালো শট খেললেও খুব বেশি সাবলীল দেখাচ্ছিল না তাকে। তিনিও ১৭ রান করেন আউট হন। প্রস্তুতি ম্যাচে শতরান করা শুভমন গিলও বেশিক্ষণ থাকেননি। লেগ স্টাম্পের বাইরে যাওয়া বল গ্লাভসে লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২ রান করেন শুভমন। মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।
সেখান থেকে খেলা ধরেন বিরাট ও শ্রেয়াস। ইনিংসের শুরুতেই অবশ্য দু’জনেরই ক্যাচ পড়ে। তার ফায়দা তোলেন এই জুটি। শেষ পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৯১ রান করে ভারত।
বিরতির পরেই চমক দেখান রাবাদা। প্রথমে শ্রেয়াস ও তারপরে কোহলিকে আউট করে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। শ্রেয়াস করেন ৩১ রান। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। ৮ রান করে ফেরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।
ছয় উইকেট পড়ার পরে ভারতের ইনিংসকে সামলানোর দায়িত্ব পড়ে রাহুল ও শার্দুল ঠাকুরের উপর। রাহুল সাবলীল ব্যাট করছিলেন। শার্দুলও ইতিবাচক ব্যাট করছিলেন। একপর্যায়ে ২৪ রান করে আউট হন শার্দুল। পরে চা বিরতির পরে বুমরাহকে নিয়ে রান করার চেষ্টা করেন রাহুল। হাতে উইকেট কম থাকায় একটু আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায় তাকে। পর দু’বলে চার ও ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। একপর্যায়ে বুমরাহও আউট হয়ে যান। পরে সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে যতটা সম্ভব একাই খেলার চেষ্টা করছিলেন রাহুল।
৫৯ ওভারের পরে বৃষ্টি নামে। আকাশ কালো হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে বৃষ্টি থামলেও খেলা শুরু করা যেত না। এজন্য আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন প্রথম দিন আর খেলা হবে না। দিনের শেষ ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহুল। আর ১০ বলে শূন্য রানে করে মাঠে আছেন সিরাজ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই