ইউরোপে অফিস কর্তৃপক্ষ চাইলে তার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অফিসে সম্পাদন করা ব্যক্তিগত চ্যাট বা ব্যক্তিগত ইমেইল চেক করতে পারবে। এটা জোরপূর্বক কোনো ব্যাপার নয়। গত মঙ্গলবার ইওরোপের মানবাধিকার আদালত এক রায়ে একথা জানিয়েছে। ফলে এটা এখন বৈধ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
আদালতের রায় মতে, অফিসের কাজের সময় কোনো কর্মীর পাঠানো ইয়াহু মেসেঞ্জারে কী বার্তা রয়েছে সেটা পড়ার অধিকার অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রয়েছে।
রায়ে আরো বলা হয়, কাজের সময় ব্যক্তিগত মেসেঞ্জার ব্যবহার করলে ওই কর্মী অফিসের নিয়মকানুন ভঙ্গ করছেন বলেই ধরে নিতে হবে। ব্রিটেনসহ যে সব দেশ মানবাধিকার সংক্রান্ত ইওরোপীয় সনদে সই করেছে সে সব দেশে এই রায় প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ, রোমানিয়ার একজন প্রকৌশলী ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে এ সংক্রান্ত একটি মামলা করেছিলেন। এ সংক্রান্ত আবেদনে তিনি তার গোপন চিঠিপত্র পড়ার অধিকার যে অফিসের নেই, আদালত যেন তার পক্ষে রায় দেয় বলে জানিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি ইয়াহু মেসেঞ্জারকে তার ব্যক্তিগত এবং অফিসের কাজে ব্যবহার করতেন। এই কারণে ২০০৭ সালে তার চাকরি চলে যায়।
আদালতের রায় তার বিপক্ষে গেছে। খবর বিবিসির
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ