আগামী বছর থেকেই প্রত্যেক মোবাইলে বাধ্যতামূলক ভাবে প্যানিক বাটন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। জরুরি অবস্থায় যাতে আত্মীয়স্বজন বা পুলিশের কাছে তৎক্ষণাৎ খবর পাঠানো যায়, সেজন্যই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ মন্ত্রণালয়। মূলত নারী সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই এই উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। খবর: কলকাতা
২০১৭ সালে ভারতে যে সব মোবাইল ফোন বিক্রি হবে তার প্রতিটিতেই ‘প্যানিক কি’ থাকা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সব রকম মোবাইল ফোনে থাকবে জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম যাতে কেউ কোন বিপদে পড়লে তাঁর নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে সহজে এবং দ্রুত জানা যায়।
ভারতের টেলিকম মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপনকে আরও উন্নত করে তোলে। সেই প্রযুক্তির সাহায্যে যদি নারীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা যায়, তাহলে তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশে এমন মোবাইল ফোন বিক্রি করা যাবে না, যাতে প্যানিক কি নেই। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রত্যেক ফোনে থাকবে বিল্ট-ইন জিপিএস।’
২২ এপ্রিল ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ৫ বা ৯ নম্বর বাটন বেশ কিছুক্ষণ প্রেস করে রাখলে এমার্জেন্সি কল পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট নম্বরে। অথবা পাওয়ার বাটন পর পর তিন বার প্রেস করলেও পাওয়া যাবে এমার্জেন্সি কলের সুবিধা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১৭