নরওয়ের টেলিকম কোম্পানি টেলিনরের ভারত ছাড়ার কথা শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। অবশেষ এমনটাই ঘটল। ভারতের অন্যতম অপারেটর এয়ারটেলের কাছে দেশটিতে তাদের ব্যবসা বিক্রি করে আপাতত ভারত থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিল টেলিনর।
বর্তমানে এয়ারটেল ভারতের সবচেয়ে ব্যবসা সফল অপারেটর। পাশাপাশি, টেলিনর ইন্ডিয়ার সব শেয়ার এয়ারটেল কিনে নেওয়ায় তাদের সব স্পেকট্রাম এবং গ্রাহক পেয়ে যাচ্ছে তারা। তাতে এক লাফে এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা ২৬ কোটি ৯০ লাখ থেকে ৩১ কোটি ৩০ লাখে চলে যাচ্ছে।
তবে টেলিনরের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টেলিনর তাদের সেবা আগের মতোই চালিয়ে যাবে যতদিন না পর্যন্ত স্পেকট্রামসহ অন্যান্য সব বিষয় এক হওয়ার কাজ শেষ না হবে। আর এ জন্য ১২ মাসের মতো সময় লাগবে। তবে এয়ারটেলের শেয়ার কেনার বিষয়টি জানুয়ারি ২০১৭ থেকে কার্যকর থাকবে।
সাম্প্রতিক সময়ে টেলিকম বিশ্বে বার বারই দেখা যাচ্ছে একীভূতিকরণের দৃশ্য। বাংলাদেশে এয়ারটেল রবির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। আবার রবির মূল কোম্পানি আজিয়াটাও নেপালের একটি কোম্পানির শেয়ার কিনে নিয়েছে। মূলত আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে অপারেটররা অপারেটিং খরচ কমিয়ে ফেলতেই এই একীভূতিকরণ চর্চা শুরু হয়েছে।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের বাজার দিয়ে এশিয়ায় প্রবেশ করে টেলিনর। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসা সফল অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশের মালিকানা রয়েছে নরওয়ের কোম্পানি টেলিনরের। পরে ২০০৮ সালে ভারতের বাজারে প্রবেশ করে তারা। এরপর একের পর এক মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত এবং সর্বশেষ মিয়ানমারে অপারেশন শুরু করে অপারেটরটি।