বিশ্বখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বারবারই দাবি করেছেন, 'এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের অস্থিত্ব রয়েছে। তারাও আমাদের খুঁজছে।'
অার মার্কিন জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে। সেখানে প্রাণ থাকতেও পারে। যা বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের কথার সঙ্গে মিলে যাওয়ারই ইঙ্গিত।
কিন্তু এবার হকিং সতর্ক করলেন পুরো মানব সভ্যতাকে। বললেন, 'মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব পৃথিবীর বাইরে নতুন বাসস্থান খুঁজতে হবে। না-হলে স্রেফ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।'
হকিংয়ের সতর্কবার্তা, আগামী ৬০০ বছরে মানুষ এই পৃথিবীকে একটা অগ্নিকুণ্ডে পরিণত করবে। পৃথিবী সৃষ্টির সময় যেমন ছিল, ঠিক তেমন আগুনের পিণ্ড। আর এই অবস্থাকে কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না।
সুতরাং উপায়? খ্যাতনামা বিজ্ঞানীর সাফ বক্তব্য, জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে শক্তির চাহিদাও বাড়ছে। সেটাই হবে বিপদের ধ্বংসের কারণ। বাঁচতে হলে মানুষকে ভিনগ্রহ খুঁজতে হবে। নইলে বিলুপ্তি হবেই। তাঁর কথায়, 'আমাদের সৌরজগতে কাছাকাছির মধ্যে আরেকটি সৌরজগত হল আলফা সেনট্যরি। পালানোর জন্য ওটাই ভালো।'
বেইজিংয়ে একটি সম্মেলনে ভিডিয়ো বার্তায় আলফা সেনট্যরিতে ন্যানোক্রাফ্ট পাঠানোর উপরেই জোর দিয়েছেন। ন্যানোক্রাফ্ট হল এমন একটি স্পেসক্রাফ্ট, তা আলোর গতিবেগের কাছাকাছি গতিতে যাবে। আলফা জগতে পৌঁছতে সময় লাগবে ২০ থেকে ৩০ বছর। মঙ্গলে পৌঁছনো যাবে এক ঘণ্টার মধ্যে।
বর্তমানে যে মহাকাশযান মানুষের হাতে রয়েছে, তাতে আলফায় পৌঁছতে ৩০ হাজার বছর লেগে যাবে। পৃথিবী থেকে গ্রহটির দূরত্ব ৪.৩৭ আলোকবর্ষ। হকিংয়ের কথায়, 'পৃথিবীর আয়ু আর ৬০০ বছর।'
বিডিপ্রতিদিন/ ০৮ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান