বিমানবন্দরে ঢুকে আপনি দেখলেন জার্মান শেফার্ড বা ল্যাব্রাডর বা বেলজিয়ান ম্যালিনয় আপনার লাগেজ ব্যাগটির গন্ধ শুঁকে চলে গেল। তবে আগামীদিনে এই দৃশ্যের সমাপ্তি হতে চলেছে। নিরাপত্তার কাজে সিআইএসএফকে সাহায্য করতে রক্ত-মাংসের কুকুরের বদলে আসতে চলেছে ফ্যাক্টরিতে তৈরি রোবট কুকুর।
যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, কানাডা, জাপান, কোরিয়ার মতো দেশগুলিতে নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের রোবট কুকুর ব্যবহার করা হয়। এবার সেই পথে হাঁটার কথা ভাবছে ভারতের বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ।
গত সপ্তাহে কানাডার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্লোবাল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম ২০১৮। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইএসএফের ডিজি রাজেশ রঞ্জন ও অতিরিক্ত ডিজি এম এ গণপতি।সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইসিএও'র অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা করেছেন সিআইএসএফের এই দুই শীর্ষ অফিসার।
সিআইএসএফ'র এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমেরিকার ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ)-এর সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিলই। নিরাপত্তায় আরও প্রযুক্তিগত সহায়তার পথে হাঁটতে এবার আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করব।’’
রোবট কুকুরের নিয়োগ ছাড়াও সিটি স্ক্যান নির্ভর হাত ও কেবিন লাগেজের পরীক্ষা, বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ওই সভায়।
বিমান পরিবহণকে ব্যবহার করে সোনা পাচার, ড্রাগ পাচার ও বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রবণতা সারা বিশ্ব জুড়েই ক্রমবর্ধমান। ভারতেও বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে ড্রাগ ও সোনা পাচারের চেষ্টার খবর প্রায়ই সামনে আসে। তাই বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে এই ধরনের অপরাধ রুখতে শুধু মানব দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকতে চায় না সিআইএসএফ। তাই পুরোদস্তুর প্রযুক্তি ব্যবহার করার পথেও হাঁটতে চায় তারা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি নির্ভর করতে ইতিমধ্যেই ভারতের কিছু বিমানবন্দরে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার সিস্টেম চালু করেছে সিআইএসএফ। সে জন্যই রোবট কুকুরের ব্যবহারও খুব শীঘ্রই শুরু করতে চায় তারা।
সূত্রঃ আনন্দবাজার।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত