বর্তমান এই প্রযুক্তিনির্ভর যুগে কোন জায়গা বা কারো অবস্থান খুঁজতে গ্লোবাল পোজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস'র জুড়ি নেই। এবার মহাশূন্যেও এই ব্যবস্থা আনতে চাইছে নাসা। কারণ সেখানেই তো মহাকাশচারীদের হারিয়ে যাওয়ার ভয় সব থেকে বেশি, যার ফলে হতে পারে মৃত্যুও।
এখন মহাকাশচারীরা নাসার যোগাযোগ নেটওয়র্কের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখেন। মহাশূন্যে জিপিএস বসলে সেই নেটওয়র্কের উপর থেকে চাপ কমবে এবং আরও বেশি তথ্য আদানপ্রদানের কাজে ব্যবহার করা যাবে বলেই মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
স্যাটেলাইট, গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রিসিভার দিয়েই তৈরি হয় জিপিএস। গ্রাউন্ড স্টেশন স্যাটেলাইটের উপর নজর রাখে। রিসিভার স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো সঙ্কেত শুনে গণনা করে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়। বিজ্ঞানীরা মহাশূন্যের জন্য বিশেষ রিসিভার তৈরি করছেন, যা ২৩–২৪টি জিপিএস স্যাটেলাইট থেকে অবস্থান সঙ্কেত তুলতে সক্ষম হবে। গডার্ড–ডেভেলপড্ নেভিগেটর জিপিএস–এর উপর ভিত্তি করেই এই বিশেষ জিপিএস তৈরি হবে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০০ সালের শুরুতে ম্যাগনেটোস্ফেরিক মাল্টিস্কেল মিশন বা এমএমএস–এ ওই গডার্ড জিপিএস প্রথমবার ব্যবহার করেছিল নাসা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মহাশূন্যের জিপিএস তৈরির জন্য অবশ্য পুরনো এমএমএস জিপিএস–এ উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টেনা, অত্যাধুনিক ঘড়ি এবং উন্নতমানের বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি লাগবে। যে মহাকাশযান এই জিপিএস–এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাতে বিশেষ সংক্ষিপ্ত মানচিত্রের তথ্য থাকবে, যাতে মহাকাশচারীরা সহজেই অবস্থান বুঝতে পারেন। বর্তমানে চাঁদের জিপিএস–এর রিসিভার ন্যাভকিউব উপর ভিত্তি করে গঠিত। নতুন জিপিএস তৈরি হবে স্পেসকিউবের উপর ভিত্তি করে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ