ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের পথ না করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহম্পতিবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সাধারণ শিক্ষার্থীদের' ব্যানারে মানববন্ধন করে চার শতাধিক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও এ কর্মসূচিতে সংহতি জানান।
ঢাকার বহুল প্রতিক্ষীত মেট্রোরেল প্রকল্প নির্ধারিত সময় ২০১৯ সালে বাস্তবায়িত হলে রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে মোট ২৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই ট্রেন। পড়বে না যানজটে, সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম।
রাজধানীতে মেট্রোরেল রুট নির্মাণে ইতোমধ্যে অ্যালাইনমেন্ট ও ১৬টি স্টেশনের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। শেষ হয়েছে প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন স্থানে চালানো ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ। ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শেষে হবে ২০১৬ সালের অাগস্টে।
মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, এই মেট্রোরেল হলে বিজ্ঞান অনুষদের জিন প্রকৌশল, সিএসই, অণুজীব বিজ্ঞান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ পড়বে সরাসরি হুমকিতে। বহু বছরের পুরনো রাজু ভাস্কর্যও তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাবে। এই ট্রেনের শব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার ও দোয়েল চত্বরের পাশে অবস্থিত বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে লেখাপড়া ব্যাহত হবে।
অবশ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পথের দুই পাশেই বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকবে বিধায় মেট্রোরেল চলাচলে কম্পন এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধে থাকবে বিশেষ প্রযুক্তি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ''আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই; আমরাও মেট্রোরেল চাই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করে নয়।''
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ