বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডা. বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসে অনধিকার প্রবেশের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। গত রবিবার হোস্টেলের আবাসিক ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার পর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ইউসুফ আলীকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর স.ম ইনামুল হাকিম।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, গত ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের বিকল্প মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র কর্ম পরিষদের জিএস নাহিদ সেরনিয়াবাত এবং ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ মুন্না আকস্মিক ডা. বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় আবাসিক ছাত্রীরা চিত্কার চেঁচামেচি করলে অন্যান্য ছাত্রীরা হল থেকে বেড়িয়ে আসে। এ সময় ছাত্রীদের তাড়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে প্রতিবাদকারী ছাত্রীরা রাস্তায় বের হলেই তাদের এসিড নিক্ষেপসহ হল ছাড়া করার হুমকি দেয় বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন আবাসিক ছাত্রীরা।
আবাসিক ছাত্রীদের পক্ষে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন ১০ জন। হেনা আক্তার নামে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিনা অনুমতিতে নাহিদ ও মুন্না প্রায়ই ছাত্রী হলে ঢুকে পড়ে। এ কারণে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ স.ম ইনামুুল হাকিম বলেন, ‘বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসের আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্দ কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/১১ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ