রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় অনশন স্থগিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় না দিতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর তারা অনশন স্থগিত করেন।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ বলেন, ‘ক্লাস উপস্থিতি না থাকা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়ার কোন ক্ষমতা আমাদের নেই। জরুরি বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির বৈঠকে ক্লাসে উপস্থিতি না থাকা শিক্ষার্থীদের ১ম বর্ষের সঙ্গেই থাকতে হবে।’
আন্দোলনে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষকদের উপর আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এরপর আবার আমাদের অভিভাবকদেরকে ফোন করে হুমকি দেয়া হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসানের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ১০টার দিকে বিভাগের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র থেকে তথ্য নিয়ে এ হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভের মা যশোরের একটি হাসাপাতালে এবং নাজমুল ইসলাম নামের প্রথম বর্ষের অপর এক শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাতে পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রক্টরের হুমকিতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে চারজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘তারা রবিবার দুপুর থেকে আইন বিভাগের সামনে অবস্থান করছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে রাত্রি যাপনের কোনো বিধান নেই তাই তাদেরকে বিভিন্নভাবে সেখান থেকে উঠে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সোমবার রাতেও তারা সেখান থেকে না উঠলে শিক্ষার্থীদের পরিচয় লিখে নেয়া হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এখানে হুমকির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
বিডি-প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব