নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সালাম হলে ভাংচুরে জড়িত থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
শনিবার রাত ১২টায় নোবিপ্রবি ভিসি ড. এম অহিদুজ্জামান, প্রক্টর মুশফিকুর রহমান, আব্দুস সালাম হল প্রভোস্ট ড. ইউসুফ মিয়া, সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বৈঠক করেন। পরে ভিসি ড. অহিদুজ্জামান সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে আব্দুস সালাম হলে বহিরাগতদের নিয়ে ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন আব্দুল হামিদ বাপ্পি (ফার্মেসি, ৪র্থ ব্যাচ), নাসির আহম্মেদ রানা (ইংরেজি, ৮ম ব্যাচ), সাইফুল হক রুপু (খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান, ৮ম ব্যাচ), সাজ্জাদ শিহাব (ইংরেজি, ৮ম ব্যাচ), জাহিদুর রহমান নাইম (ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১০ম ব্যাচ), নাসির হোসেন (অর্থনীতি, ১০ম ব্যাচ)।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) ড. এম অহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আলোচনা করে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারাদেশ দেয়া হবে। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হলে যে ভাংচুর করেছে তা নজিরবিহীন। যারা বহিরাগতদের নিয়ে এ ভাংচুর চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলাও করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরিয়ানির ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগের আবদুল হামিদ রানা ও সাজ্জাদ প্রোমেল সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এঘটনায় শুক্রবার বিকেল থেকেই ক্যাম্পস উত্তপ্ত থাকে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করেও ওই দুইপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারই জের ধরে শনিবার দুপুরে মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পির সমর্থক আবদুল হামিদ রানার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সাজ্জাদ প্রোমেল সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ