জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের চলমান আন্দোলনকে নৈতিক দাবি করে পরের বছর থেকে এটি রাষ্ট্রের কাছ থেকে আদায় করার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তার আশ্বাস পেয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, “আমি বিভাগীয় সভাপতিদের সাথে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ফি না নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আসলে রাষ্ট্র আমাদেরকে যে পরিমাণ বাজেট দেয় তা যথেষ্ট নয়। অপ্রতুল বাজেট এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমাদেরকে বিভাগ উন্নয়ন ফি নিতে হয়। তবে আগামী বছর থেকে এটি যেনো রাষ্ট্রের কাছ থেকেই আদায় করা যায় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করবো।” উপাচার্য এ বছরের মতো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে তাদেরকে নিজ নিজ শিক্ষাকার্যে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।
এদিকে উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেও ভিন্ন আঙ্গিকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যয়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। বিভাগের উন্নয়নের টাকাও রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। আমরা আপাতত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। তবে যতদিন পর্যন্ত এই অবৈধ ফি নেয়া বন্ধ না হবে ততদিন আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
প্রসঙ্গত, জাবিতে ১ম বর্ষে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি ছাড়াও আলাদা করে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন অংকের বিভাগ উন্নয়ন ফি। যার পরিমাণ ছিল ৫-১০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে প্রশাসন এর পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ঘোষণা করে। কিন্তু এই ফি কে অবৈধ দাবি করে তা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল প্রগতিশীল ছাত্রজোট। তারই অংশ হিসেবে রবিবার সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ