‘গত বছর ‘এফ’ ইউনিটে আমার মেরিট পজিশন ছিল ৪৬। এ বছর ৪৪, এবার কি আমি বুঝাতে পেরেছি ইবি প্রশাসনকে? যে আমি নির্দোশ ছিলাম।’
কথাগুলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া নামক ফেসবুক পেজে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী শাখাওয়াত সিফাতের দেয়া স্ট্যাটাস থেকে নেয়া।
গতকাল শনিবার সকাল নয়টায় ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে শতকরা ৬.১১ শিক্ষার্থী পাশ করে। রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পরপরই সাখওয়াত সিফাত নামে ‘এফ’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু সেই শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে উক্ত স্ট্যাটাস দেন।
এবছর ভর্তি পরীক্ষায় ‘এফ’ ইউনিটে তার রোল-০১৮৬৭। ভর্তিচ্ছু ওই শিক্ষার্থী মোট ৭৬.১৮ মার্কস পেয়ে মেধাতালিকায় ৪৪ তম স্থান অর্জন করে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সাখওয়াত হোসেনের দেয়া তথ্যানুযায়ী জানা যায়, গত বছর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের আদেশে বাতিল হয়ে যাওয়া ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪৬তম স্থান অর্জন করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের কারণে ২৫ দিন ক্লাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়া ছাড়তে হয় তাদের ।
দ্বিতীয়বার চান্স পেয়ে সেই শিক্ষার্থী তার স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তার এই স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাপক সরব হয়। স্ট্যটাস দেয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কমেন্ট লক্ষ্য করা যায়।
উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তিকৃত ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে ৮৮ জন শিক্ষার্থীদের করা রিটের প্রেক্ষিতে ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এর মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আপিল খারিজ করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে ঘোষনা করেন। ফলে প্রথম ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বহাল রইল।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর