ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ অনার্স (স্নাতক) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ দিন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছে দুই শিক্ষার্থী। ওই দুই শিক্ষার্থীর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার নাম কাওছার আলী ও অন্যজন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. আলম।
সোমবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুইজনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম কমল এ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা যায়, সোমবার মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ‘বি’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম এলাকা থেকে তথ্যের ভিত্তিতে দুই প্রক্সিদাতাকে আটক করে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রকি এবং হিসাব বিজ্ঞান, তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র লাল চাঁদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত আছে বলে জানা গেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম কমল জানান, ‘অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় পাবলিক পরীক্ষাসমূহ অপরাধ আইন-১৯৮০ এর ৩ নং ধারায় কাওছার আলীকে একছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মো. আলমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দন্ডাদেশ শেষে তাদেরকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।’
বিডিপ্রতিদিন/ ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান