চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে পঁচিশ তম ব্যাচের সকলেই প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে বিভাগের রজতজয়ন্তীর দ্বিতীয় দিনের এ আয়োজনে। সাংবাদিক তৈরির এ পাঠশায় প্রিয়জনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে অনেকই ছুটে এসেছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে। তেমনই একজন ফারাহ নাজ মুসারাত। এসেছেন সুদূর আমেরিকা থেকে। ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েছি। এর মধ্যে অনেক সময় চলে গেছে। চাইলেও আসা সম্ভব হয়নি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে নিজ বিভাগের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে আমরা ঝুপড়ি পার্টি ছিলাম।আমরা ঝুপড়িতে বসে আড্ডা দিতাম। শিক্ষকরা সেখান থেকে ধরে এনে ক্লাস করাতেন। অনেক সময় শিক্ষকরা আমাদের সাথে ঝুপড়িতে বসে ক্লাস করাতেন।
আজ শুক্রবার হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। এর আগে
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় রজতজয়ন্তী উৎসবের প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
২২ তম ব্যাচর শিক্ষার্থী ও চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য জুবাইর উদ্দিন, সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার ইচ্ছে ছিল সেই কলেজ জীবন থেকে। বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এ রকমভাবে সাংবাদিকদের মিলনমেলা দেখিনি। আজকের এই আয়োজন সত্যিই অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দিয়েছে।
এছাড়াও স্মৃতিচারণ ও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সরওয়ার সুমন, বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল, সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ, মাছরাঙা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান তাজুল ইসলাম, তারেক মাহমুদ, ডেইলি সানের ব্যুরো প্রধান নুর উদ্দিন আলমগীর মিলন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ডা. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
এদিকে স্মৃতিচারণের পর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে অংশগ্রহণ করে বিভাগটির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পীরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন