ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবনাদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও লেখকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।
এর আগে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্তপস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপাচার্য আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সকল মহৎ অর্জনের আগে কিছু কলঙ্কজনক অধ্যায়ের নজির পাওয়া যায়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগে ২৫ মার্চ কালরাতে এদেশে গণহত্যা চালানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এই গণহত্যার কেন্দ্রবিন্দু। একইভাবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুও ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেদিন দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে যারা সহযোগিতা করেছিল, সেই উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিই আজ ভাস্কর্য ও সৃজনশীলতার বিরূদ্ধে কথা বলছে। এদের চরিত্র এবং উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ