আজ ১৪ ডিসেম্বর 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস'। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানিরা যখন তাদের অনিবার্য পরাজয় উপলব্ধি করে, তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মেধাবী মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় গভীর শ্রদ্ধাভরে এই দিনটিকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে স্মরণ করার লক্ষ্যে এক বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভার্চুয়াল এ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান বলেন,“স্বাধীন বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও নতুন রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মেধাবী
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালি জাতি যাতে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তালিকা করে হত্যা করা হয়। যা বাংলাদেশের জন্য বাঙালি জাতির জন্য চিরজীবনের জন্য একটি কালো অধ্যায়।”
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাজী মহিউদ্দিন, রেজিস্টার উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, শিক্ষা বিভাগ, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক মমতাজ বেগম, ট্রেজারার উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়।আলোচকবৃন্দ তাদের আলোচনায় মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানটি সকাল ১১.৩০ মিনিটে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেইজে ও ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ভার্চুয়াল এ আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. শফিউল আলম চৌধুরী সহযোগী অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ ও পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডিরেক্টর অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স, উত্তরা ইউনিভার্সিটি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক