বিশ্ববিদ্যালয় প্রপোজাল বুক, ডিড অব ট্রাস্ট, অঙ্গীকারনামাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সকল ডকুমেন্টসে উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে লায়ন মো. মুজিবুর রহমানের নাম লেখা আছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার সাত বছর পর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সালাহউদ্দীন আহমদ সিআইপি নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা আখ্যা দিয়ে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জবরদখল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাহবুবা সুলতানা।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ জন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুবা সুলতানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালে ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি লায়ন মো. মুজিবুর রহমানের পরিবার ও অন্য ট্রাস্টিদের আর্থিক অনুদানে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এক টাকাও বিনিয়োগ না করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার কারণে সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত সালাহউদ্দিন এই দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘ ৭ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় সংখ্যা গরিষ্ঠ ট্রাস্টি সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২০ মে সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলমকে (এমএ) চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।
কিন্তু ট্রাস্টের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সালাহউদ্দিন আহমদ। ফলশ্রুতিতে গত ২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সেক্রেটারি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা লায়ন মো. মুজিবুর রহমানের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কায়েম করা চেষ্টা করেন।
এরপর প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে তিনি অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে সালাহউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা পুনঃনির্ধারণের জন্য গত ৭ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার