মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে মৌলিক গবেষণা পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। আজ সোমবার বিকালে উপাচার্য অফিস সংলগ্ন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু বক্তৃতামালা’ উদ্বোধনকালে এই কথা জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ এবং ‘উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’ যৌথভাবে এই ‘বক্তৃতামালা’র আয়োজন করে।
উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতা প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ জাতীয় উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলিক গবেষণা হবে’ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রচলিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে স্বতন্ত্র ও ভিন্ন আঙ্গীকের প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই ইনস্টিটিউটকে গড়ে তোলা হবে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও শিক্ষা ও গবেষণার নানা শাখায় এই প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য তিনি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি স্থাপন করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি এই ইনস্টিটিউটের সার্বিক উন্নয়নে ইউজিসি’র পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ নিয়ে গবেষণা পরিচালনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিরোধে এই ইনস্টিটিউট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির ইতিহাসে প্রথম সার্বভৌম বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীন, সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবাটি’ প্রতিষ্ঠার ফলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, আদর্শ ও কর্ম সম্পর্কে উচ্চতর জ্ঞানার্জন ও গবেষণার সুযোগ পাবে। তারা বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারবে। এই ইনস্টিটিউট নতুন প্রজন্মের প্রজ্ঞা, মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ