বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের শূন্য ৪৮টি পদ পূরণে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
রবিবার বিকেলে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) এক সভায় এ ব্যর্থতা স্বীকার করেন তারা।
কেন এতদিনেও ছাত্রলীগের শূন্য পদ পূরণ হয়নি নেতৃবৃন্দের এমন প্রশ্নে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের এ দায় স্বীকার করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পূরণের আশ্বাস দেন তারা।
সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বলেন, ৭৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে যারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে, তাদের আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখতে চাই না। শূন্য পদে এমন কাউকে চাই না যারা বিতর্কিত। কারণ, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে এবং কেউ কেউ অব্যাহতি নিয়ে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে।
ফেরদৌস আলমের কথায় সুর মিলিয়ে জয়-লেখক ‘যারা বেশি বাড়াবাড়ি করছে তাদের একটাও পদ পাবে না’ এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
এছাড়াও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এ জরুরি সভায় বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ‘হট্টগোল’ সৃষ্টি হয়। দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্ধারিত সময়ের পর সভায় উপস্থিত হওয়া, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি হওয়া, ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাস তন্বীর ওপর হামলার ঘটনাসহ নানান বিষয়ে কথা উঠলে ‘হট্টগোলের’ সৃষ্টি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন