ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি সংস্কার নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর-পিডব্লিউডি এর সঙ্গে সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে পিডব্লিউডির খসড়ার নকশার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিডব্লিউডির অতিরিক্ত প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি দল এই সভায় অংশ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সভায় অংশ নেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার।
সভার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাভেদ আলম মৃধা বলেন, তারা (বিডব্লিউডি) আমরা যে চেকলিস্ট দিয়েছিলাম, সেটার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা আমাদের থেকে নির্দেশনা চেয়েছেন। উপাচার্য সেটা করেছেন। এটার সাথে তো সবার আবেগ জড়িত। সেটা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে। পিডব্লিউডি নকশা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে দেখাবেন। এ বিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত নির্দেশনা দেবেন।
তিনি জানান, এটা এখনও প্রাথমিক পরিকল্পনা পর্যায়ে আছে। একটা 'প্রেজেন্টেশনে'র কথা ছিলো। কিন্তু ওই ভাবে না। নকশা হয়ে গেছে এমন বলার মত পর্যায়ে এটা আসে নি। শুধু কী করা যায়, কী করা উচিত এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের সাথে আরেকটি সভা আছে। সেটা হলে বোঝা যাবে।
তবে, সভার একটি সূত্র জানিয়েছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে টিএসসির একটি খসড়া নকশা প্রদর্শন করা হয়। তবে সেটা পছন্দ হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তাদের নকশায় টিএসসির পুরাতন সব ভবন ভেঙে নতুন তিনটি ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি ভবনের মধ্যে দুটি হবে তিনতলা বিশিষ্ট। অন্যটি হবে ছয়তলা। ছয়তলা ভবনটি হবে বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার স্থানে। আর তিন ভবনের দুটি হবে বর্তমানের টিএসসির সামনের ভবনটির স্থানে, অন্যটি হবে অডিটোরিয়ামের স্থানে। নকশা কিছুটা পরিবর্তন করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নকশা চূড়ান্ত হলে এর অনুমোদন দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
সভার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ বিষয়ে বলার মত কিছু হয়নি। হলে সেটি জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল