খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেওয়া শোকজের জবাব দিয়েছেন ৪৪ জন শিক্ষার্থী। সোমবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ই-মেইল ও কুরিয়ারের মাধ্যমে নোটিশের জবাব দেন। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর তাদের শোকজ করা হয়েছিল। কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের ইইই শাখার প্রফেসর ও লালন শাহ হলের প্রভোষ্ট ড. মো. সেলিম হোসেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সেলিম হোসেন কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর মানসিক নিপিড়নের শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্ত কুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। লালন শাহ হলে ডিসেম্বর মাসে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিম হোসেনকে চাপ দেয়া হচ্ছিল।
এদিকে ড. সেলিমের মৃত্যু ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। পরে ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ জন শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। পরে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি তাদেরকে শোকজ করে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল