হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত অধ্যাপকবৃন্দের জন্য “শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাবিপ্রবিতে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)এর আয়োজনে আইকিউএসি কনফারেন্স রুমে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অংশ হিসেবে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. কামরুজ্জামান। হাবিপ্রবির আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আবদুল করিম।
এসময় হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. কামরুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা, জেল, জুলুম সহ্য করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরই তিনি শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে কতটা স্বচ্ছ করা যায় সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন পাশাপাশি সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেন জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয় সে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। এ লক্ষে আমরাও কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবামূলক বিভিন্ন অভিযোগ থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে তারা অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা (অনিক) এর নিকট অভিযোগ দিতে পারবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়গুলো দেখবেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিষয়গুলো দেখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বিকল্প অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা। একটি নির্ধারিত সময়ের মাঝেই অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। কোন ধরণের সেবা পেতে কতদিন সময় লাগবে সব কিছু সিটিজেন চার্টারে উল্লেখ থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন