ঠাকুরগাঁওয়ে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেনি এবং চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছে মাত্র একজন করে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) চলতি বছরের সকল শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শাহীন আকতার স্বাক্ষরিত ওয়েবভিত্তিক একটি ফলাফলের তালিকায় এসব তথ্য দেখা যায়। সেই তালিকায় দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ঠাকুরগাঁওয়ের ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন ফলাফল।
একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মোড়লহাট জনতা স্কুল এন্ড কলেজ, হাজীপুর কলেজ, কদমরসুল হাট স্কুল এন্ড কলেজ ও পীরগঞ্জ আদর্শ কলেজ।
একজন করে পাস করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রত্নাই বগুলাবাড়ী হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বাশগাড়া আইডিয়াল কলেজ, ঠাকুরগাঁও নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার কদম রসুল হাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন,আমাদের কলেজ থেকে শুধু মানবিক বিভাগ থেকে মোট ৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ পাস করতে পারেনি।
পাস না করতে পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এদিকে গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়ে গুলো তেমন কলেজে আসে না ও ক্লাশ করতে চায় না। শিক্ষকরা প্রতিদিন কলেজে আসলেও ক্লাশে তেমন ছাত্রছাত্রী আসতো না। আবার যারা আসতো তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে। বাকি প্রায় আরও ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেনি। পড়াশোনা না করে কি পরীক্ষায় পাস করা যাবে? যারা পরীক্ষা দিয়েছে তারা হয়তো ভালোভাবে পড়াশোনা করেনি। এ কারণে হয়তো তারা পাস করতে পারেনি।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জেলায় মোট পাস ফেল এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীন আকতার। তিনি বলেন, মোট পাস ফেল ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফল উল্লেখ করে বোর্ড আমাদের ফলাফল প্রেরণ করেন না। আমাদেরকে সেগুলো হিসাব করে বের করতে হয়। তাই এই মুহূর্তে সংখ্যায় বলা যাচ্ছে না।
কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস না করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদান করেছি মাত্র কয়েকদিন হচ্ছে। তাই তিনি এ বিষয়ে তেমন কোন মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ১৪ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২০টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ৯৫৬ জন, ৫টি কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৩৫ জন ও ১১টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল ও বিএম শাখায় ৪ হাজার ৮০৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ