জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় মন্দিরের ছাউনির টিন কেটে ধর্মীয় গ্রন্থসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে চুরির ঘটনার প্রতিবাদসহ ৬ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ওইদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সনাতনধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সাপ্তাহিক প্রার্থনা করতে গেলে চুরির বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে আসে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত বিশ্বাস।
অমিত বিশ্বাস বলেন, নিয়মিত সাপ্তাহিক প্রার্থনার অংশ হিসেবে ১ সপ্তাহ পরে সন্ধ্যায় আমরা মন্দিরে প্রার্থনা করতে যাই। তখন প্রার্থনার প্রয়োজনীয় ধর্মীয় গ্রন্থসহ সব সরঞ্জামাদি চুরির বিষয়টি নজরে আসে। এর আগেও মন্দিরে ৪ বার চুরি হয়েছে। বারবার মন্দিরে চুরি হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। আমরা চাই এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হোক। মন্দিরের ছাউনির টিন কেটে ২৫০টির মতো গীতা, ৪টি বেদ, ৩টি সিলিং ফ্যান, ২ টি এনার্জি বাল্ব, ২৫০টি থালা, ৩০টি গ্লাস, ২ টি বালতি, ২টি সাউন্ড বক্স ও পূজার অন্যান্য সামগ্রী চুরি হয়েছে বলে জানান অমিত।
এদিকে চুরির ঘটনার প্রতিবাদে ও ৬ দফা দাবিতে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি ৬টি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরের জায়গা স্থায়ীকরণ, মন্দিরের জন্য স্থায়ী নিরাপত্তাকর্মী ও পুরোহিত নিয়োগ, মন্দিরে যাতায়াতের জন্য স্থায়ী রাস্তা নির্মাণ, মন্দিরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, আবাসিক হলে সনাতনধর্মীদের জন্য উপাসনালয় স্থাপন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তি প্রদান ও চুরি হওয়া জিনিসপত্রের ক্ষতিপূরণ প্রদান।
দাবি গুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, হলগুলোতে উপাসনালয় কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে এ মুহূর্তে আমি আশ্বস্ত করতে পারছিনা। তবে বাকি দাবিগুলো আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন