কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করবে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর খাদ্য গুদাম। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন শুক্রবার (২০ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে। সিলেট জেলার অন্য উপজেলায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধান সংগ্রহের কার্যক্রম চলতে থাকলেও সদর উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকরা নিবন্ধন ও ধান বিক্রি করতে পারবেন। সিলেটের সরকারি খাদিমনগর খাদ্য গুদামে প্রতি মণ আমন ধান ১ হাজার ৪০ টাকা করে প্রত্যেক কৃষক বিক্রয় করতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোজ কান্তি দাস চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত)। তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য সিলেটে এই প্রথম সদর উপজেলার ‘কৃষকের অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে। এখানে কৃষকরা নিবন্ধনের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারবেন। এবার প্রতি মণ আমন ধান ১ হাজার ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। কৃষক নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর লাগবে।
তিনি জানান, এই অ্যাপের সুবিধা হল এর মাধ্যমে নিবন্ধন, বিক্রয়ের আবেদন, বরাদ্দ আদেশ এবং মূল্য পরিশোধের সনদ সম্পর্কিত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এতে সময়, খরচ, হয়রানি ও ভোগান্তি কমবে। নিবন্ধন ও আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর কম্পিউটারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লটারি করা হবে। নতুন কৃষক নিবন্ধন করলেই তার ধান বিক্রয়ের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। তবে নিবন্ধনকৃত পুরাতন কৃষকদের শুধুমাত্র ধান বিক্রয়ের আবেদন করতে হবে।
কৃষক নিবন্ধনের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিলেট সদর, পৌরসভা/ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদিমনগর সিলেট সদর, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিলেট সদর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিলেটে যোগাযোগ করতে পারবেন কৃষকরা। প্রত্যেক কৃষককে মোবাইল ফোনে Google Play Store থেকে Krishoker App ডাউনলোড করতে হবে। তখন সহজেই কৃষক নিবন্ধন হয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম