সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, আমার জন্যে উঁচু মঞ্চ বা গেইট নির্মাণ করবেন না। এগুলো মানুষে মানুষে দুরত্ব সৃষ্টি করে। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণ হল রাষ্ট্রের মালিক আর আমরা জনপ্রতিনিধিরা সেই মালিকের একেকজন সেবক মাত্র। উঁচু মঞ্চ বা গেইট নির্মাণ করে মালিকে-সেবকে দূরত্ব সৃষ্টি করবেন না। একজন সেবক হিসেবে জনগণ তথা রাষ্ট্রের মালিকদের জন্যে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি, ইতিহাসে নাম লিখাতে বা আবার নির্বাচিত হতে নয়। কাজ করে যাচ্ছি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি দুর্নীতিবাজ চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে জানিয়ে মোকাব্বির খান বলেন, এইসব দুর্নীতিবাজরা যেই হোক যতই বড় হোক, তাদেরকে কোন ছাড় দেব না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। আমি ওইসব দুর্নীতিবাজদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। তাদেরকে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির সাক্ষী হতে চাই না, অংশও হতে চাই না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে চাই। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন কোন কাজের বিনিময়ে কারো কাছ থেকে একটি টাকাও নিয়েছি, তাহলে সাথে সাথেই পদত্যাগ করব।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রজকপুর গ্রামবাসী আয়োজিত ‘রজকপুর খেয়াঘাটে বাসিয়া নদীর উপর পাকাসেতু নির্মাণ ও এলাকার উন্নয়নের দাবিতে আলোচনা এবং সংবর্ধনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় রজকপুর ঈদগাহ ময়দানে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি মোকাব্বির খান এক সপ্তাহের মধ্যে রজকপুর খেয়াঘাটে বাসিয়া নদীর উপর পাকাসেতু নির্মাণের জন্যে ড্রয়িং করার জন্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মাওলানা আবদুল হকের সভাপতিত্বে উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম তুহেমের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ, নতুন সিরাজপুর গ্রামের কবির আহমদ, বিশিষ্ট মুরব্বী বশারত আলী, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রজকপুর গ্রামের মনোহর হোসেন মুন্না, আতিকুর রহমান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা