সুনামগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের কপাল কাটার অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত ডাক্তার এর বিরুদ্ধে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ হেলথ কেয়ার পলি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিজারের সময় শিশুর কপাল কেটে দেওয়ার অভিযোগ আনেন স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, রবিবার দিনগত রাতে প্রসব ব্যথা নিয়ে সুনামগঞ্জ সদরের ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন সাজনা বেগম(২২)। তিনি সদর উপজেলার সরদারপুর গ্রামের আলমগীর আলমের স্ত্রী।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন সুনামগঞ্জ মা ও শিশু কেন্দ্রের গাইনি বিশেষজ্ঞ জসিম উদ্দিন। অপারেশনের পর স্বজনদের কাছে নবজাতককে নিয়ে আসা হলে তার কপালে বাম পাশে কাটা দেখতে পান। কাটা অংশ দু’টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
প্রসূতির মামা তৈয়বুর রহমান জানান, সিজার হওয়ার পর বাচ্চা নিয়ে আসলে তার কপাল রক্তাক্ত কাটাদাগ ও দুইটি সেলাই দেয়া অবস্থায় দেখতে পাই। তখন হাসপাতালের নার্সদের কপাল কাটার কারণ জানতে চাইলে ডাক্তারের তাড়াহুড়োর কারণে এমনটা ঘটেছে বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, ডাক্তারের সাথে দেখা করে কপাল কি কারণে কেটেছেন সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন কপালে সিস্ট ছিল। সেটা অপারেশন করে অপসারণ করা হয়েছে। অপারেশনের ব্যাপারে আমাকে কেন জানানো হয়নি জানতে চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি দরজা লাগিয়ে দেন।
তৈয়বুর রহমান আরও বলেন, ‘দায়সারাভাবে অপারেশন করতে গিয়ে আমার নাতির কপাল কেটেছেন ডাক্তার। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযোগের ব্যাপারে ডাক্তার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাচ্চার কপালে একটি সিস্ট ছিলো তাই অপারেশন করেছি। এ কোনো সমস্যা না।’
সিস্ট অপারেশনের কথা রোগীর স্বজনদের জানানো হয়েছিল কিনা- এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নবজাতকের মাকে বিষয়টি বলেছি।’
মা সাজনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চার মাথায় সেলাই দেখে জানতে চেয়েছি এটা কিভাবে হল, ‘উত্তরে ডাক্তার বলেছেন- কি একটা কেটে ফেলেছেন। কাটার আগে তিনি আমার অনুমতি নেননি।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক