ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের কাছে রঞ্জনগাঁত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন খাদ্যের সুগন্ধি কারখানা চালু করছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি জীবাদান। ভারতে এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ ৪০০ কোটির রুপি। এই বিনিয়োগ এশিয়া- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুত প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রমাণ।
সুগন্ধ ও স্বাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ৪০ হাজার স্কয়ার ফিটের নতুন এ কারখানাটি গ্রাহকদের বৃহৎ পরিসরে খাদ্য, পানীয় ও স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবে। নতুন এই কারখানা দামানে অবস্থিত কারখানার পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। কারখানার উৎপাদিত তরল যৌগ, পাউডার মিশ্রন, ইমালসন, প্রক্রিয়া স্বাদ এবং স্প্রে শুকানোর কাজ করবে যে সেবাগুলো ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ করা হবে। নতুন এই কারখাটিতে প্রায় দুইশ জনবল নিয়োগ করা হবে।
অনুষ্ঠানে জীবাদানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিলস এন্ডিয়ার বলেন, ভারতের দীর্ঘমেয়াদী ঐতিহ্য পুনের রাঞ্জনগাঁত্র বিশ্বমানের খাদ্য সুগন্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা চালু করতে পেরে আমার অনেক আনন্দিত। এছাড়া এশিয়া- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উচ্চ প্রবৃদ্ধিশীল বাজারে আমাদের পণ্যের চাহিদা তৈরি করতে কৌশলগত দৃষ্টি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অগ্রসরমান ভারতের বাজারে আমাদের অত্যাধুনিক পন্য বাজারের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সরবরাহে কাজ দিবে।
নতুন এই প্রজেক্টে জীবাদান জলবায়ু কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। গ্রীনফিল্ড সাইটটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পানিকে পুণরায় ব্যবহারযোগ্য করে তুলবে। এর ফলে জ্বালানি খরচ কমবে। পুরো প্লেন্টটি এলইডি আলো দিয়ে সজ্জিত করা হবে এবং সৌরসিস্টেম স্থাপন করবে যা কার্বণ নির্গমনকে হ্রাস করতে সহায়তা করবে। স্থানীয় বাস্তুসংস্থানকে সংরক্ষণে সহায়তা করার জন্য এই সাইটে প্রায় এগার’শ বেশি গাছ লাগানো হবে।
ভারতীয় ক্রমবর্ধমানবাজরের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে জীবাদানের আঞ্চলিক বাণিজ্যিক প্রধান মনিলা কোথারি বলেন, "গত কয়েক বছরে ভারতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এই বাজারের চাহিদা মোকাবেলায় আমাদের অনেক সর্তক হতে হবে। এবং এটি মোকাবেলায় নতুন পন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
পুনের রঞ্জনগাঁত্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জীবাদানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিলস এন্ডিয়ার, খাদ্য সুগন্ধ বিভাগের সভাপতি লুই ডি আমিকো এবং আঞ্চলিক সদস্যবৃন্দরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর