ডিম আগে না মুরগি আগে। এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তবে দুটোই যে গুরুত্বপূর্ণ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঠিক তেমনি মানুষের জীবনেও কর্মজীবন আগে না ব্যক্তিগত জীবন, এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। আবার অনেকেই সারাজীবন কেবল চিন্তাই করেন, কীভাবে তিনি ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স করে জীবনটাকে উপভোগ করবেন। যখন কাজে ব্যস্ত হয়ে যান তখন নিজেকে আর সময় দেওয়া হয় না।
আবার সময় অপচয় করার মতো সময়ও কিন্তু কম নেই। এইভাবে চলছে মানুষের জীবন। কিন্তু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যস্ততার সাথে ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সটা রক্ষা করা খুবই জরুরি।
ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রক্ষা করার অর্থ হচ্ছে সারাদিনের কতটুকু সময় কাজ, আর কতটুকু ব্যক্তিগত জীবনে ব্যয় করা উচিত তার একটি হিসাব।
একজন ব্যক্তি যাতে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে, আবার ঠিক তার পাশাপাশি কর্মজীবনও যেন তাৎপর্যপূর্ণ হয়। এই পুরো সময়জুড়ে হীনমন্যতা, চাপ ও প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার নামই হচ্ছে ভারসাম্য।
কিন্তু বাস্তবে কতজন মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে এই ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে পারে। নিজের উপর অবিচল বিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে পথ চলতে পারলেই সফলতার দেখা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সাফল্য ধরে রেখে সুন্দর একটি জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।
প্রযুক্তির সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সবার দৃষ্টি এখন উন্নয়নের দিকে। তবে এই উন্নয়নের পেছনে যারা কাজ করছে তাদের মানসিক উন্নয়নের দিকে নজর নেই খুব একটা। যার ফলে তারা অনেক সময় হয়ে পড়ছে হতাশাগ্রস্ত। গুটিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবনকে। একা হয়ে পড়ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। প্রতিযোগিতার এই যুগে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দায়িত্বের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। যার ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না।
দায়িত্বের চেয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং একটি কাজের নেতিবাচক পরিবেশ কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারসাম্যহীনতার ফলে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক প্রভাবগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো যেমন, মানসিক চাপ এবং মানসিক চাপজনিত অসুস্থতার হার বৃদ্ধি, পারিবারিক কলহের উচ্চ হার, সহিংসতা, বিবাহবিচ্ছেদ, সহিংসতার ক্রমবর্ধমান হার ইত্যাদি, যা অনেক সময় একজন কর্মীকে অবসাদগ্রস্তও করে।
অন্যদিকে, কর্মীদের ভারসাম্য বজায় এবং জীবনের দায়বদ্ধতা অব্যাহত রাখার ফলে কাজে অনুপস্থিতি, টার্নওভারের উচ্চ হার, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, কাজের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স তৈরির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।
ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রক্ষার সমাধান হিসেবে অনেকেই কাজ থেকে ফিরে এসে, কাজের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। এই চিন্তা করে যে, এখন আমি শুধু নিজেকেই সময় দেব। কিন্তু কিছু দায়িত্ব থাকে যেগুলোর ব্যাপারে সবসময় সজাগ ও সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে, যদি কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারগুলো একীভূত করে নেওয়া যায়।
সুখীভাবে বেঁচে থাকতে হলে জীবনে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ধরে রাখতে হবে। কাজকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে আলাদা করে কখনোই সুখী হওয়া যায় না। সেজন্য জনসাধারণের মধ্যে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের ধারণাকে উৎসাহিত ও উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র ব্যালেন্সড ড্রিংকিং ওয়াটার ব্র্যান্ড স্পা একটি গল্প প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
প্রতিযোগীদের গল্পগুলো তাদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করতে হবে অথবা গল্প লিখে ইমেইলও করতে পারবে [email protected] এই ঠিকানায়।
গল্পটি ফেইসবুকে পোস্ট করার সময় #Spa এবং #BalancedLife এই দু’টি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিযোগীর ফেইসবুক পোস্টটি PUBLIC করতে হবে এবং SPA ফেইসবুক পেজকে ট্যাগ করতে হবে।
গল্প পাঠানোর শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। সংগৃহীত গল্পগুলো থেকে সেরা ১৫ জনকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবে মীরসরাই এর মহামায়া লেক থেকে ঘুরে আসার সুযোগ।
এছাড়াও ভ্রমণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে খৈয়াছড়া ঝর্ণা যাওয়া, মহামায়া হ্রদে কায়াকিং, ক্যাম্প ফায়ার, তাঁবুতে রাত্রিযাপন, মজার গেমসসহ নানা কার্যক্রম।
বিডি প্রতিদিন/কালাম