২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত অরেঞ্জ বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি অন্যতম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইঅরেঞ্জ অনলাইন শপ। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সাল থেকে ঢাকা শহরে অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যসেবা দিয়ে আসছে।
দেশি-বিদেশি নানা পণ্যের সহজপ্রাপ্যতা ও ভরসাযোগ্য কাস্টমার সার্ভিস এবং কোয়ালিটি পন্যের জন্য বাজারে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা সত্ত্বেও ইঅরেঞ্জের সাইটটি এরই মধ্যে অনেক জনপ্রিয়।
কাস্টমার সার্ভিসের দিক থেকে দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ার পাশাপাশি একটি অন্যতম মার্কেট লিডিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াই ইঅরেঞ্জের মূল লক্ষ্য হিসেবে জানান প্রতিষ্ঠানটির সিওও মো. নাজমুল আলম রাসেল।
করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ইঅরেঞ্জের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যপারে তিনি বলেন, মার্চ মাসের শেষ থেকে বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকা সিটিতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের অপারেশন বন্ধ করে দিলেও ইঅরেঞ্জের অপারেশন এক মুহূর্তের জন্য বন্ধ থাকেনি। বরং আরো জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি দেশের এই মহামারীতে আমাদের ঘরে বসে থাকা মানায় না। এই খারাপ সময়ে যদি আমরা এই শহরের মানুষের পাশে থাকতে না পারি, তাদের উপকারে আসতে না পারি, তাহলে আসলে আমাদের জন্য ই-কমার্স বিজনেস না।
তিনি আরও বলেন, তাই আমার টিমের শুধু লজিস্টিক ছাড়া সবাইকে বাসায় বসে অফিস করার নির্দেশ দেই। এবং শুরু করি ঢাকাবাসীর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ। আমরা খুব অল্প সময়ে অনেক বড় আকারে সাড়া পেয়েছি। যার কারণে আমাদের যে লজিস্টিক ক্যাপাসিটি ছিল, সেটা নিয়ে আমাদের খুব হিমশিম খেতে হয়েছে, পরবর্তী সময়ে যদিও আমরা সেটা ওভারকাম করতে পেরেছি। আমরা অনেক ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দিয়েছি এবং আমাদের পরিবহন সংখ্যাও বাড়িয়েছি। আমরা বর্তমানে শুধু ঢাকা সিটির মধ্যে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হোম ডেলিভারি নিশ্চিত করে থাকি। সঠিক সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আপনার দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই ইঅরেঞ্জের প্রধান লক্ষ্য।
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য সামগ্রী সংরক্ষণ এবং ভোক্তার দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ব্যপারে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব ওয়্যারহাউজে পণ্য সংরক্ষণ থেকে গ্রাহকের দরজা পর্যন্ত প্রত্যেকটি পণ্য আমরা যথেষ্ট হাইজিন মেইনটেইন করে ডেলিভারি করে থাকি। নিয়মিতভাবে আমাদের ওয়্যারহাউজে এবং পরিবহনগুলোকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। আমাদের প্রতিটি স্টাফ এবং ডেলিভারি কর্মী মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, গগলস ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত এবং পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে।
হাজারো অনলাইন শপের মাঝে ইঅরেঞ্জ শপের প্রিমিয়াম সার্ভিসের জন্য মানুষ ইঅরেঞ্জ শপকে বেছে নেবে দাবি করে তিনি বলেন, প্রথমত, ইঅরেঞ্জ শপের সব পণ্য অরিজিনাল এবং ১০০% কোয়ালিটি প্রোডাক্ট। তাই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। দ্বিতীয়ত, নিজস্ব ডেলিভারি ব্যবস্থা থাকায় শতভাগ পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে সঠিক সময় পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। তৃতীয়ত, আমাদের পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধসহ যেকোনো ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং বিকাশ, রকেট ও নগদসহ যেকোনো ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট সুবিধা রয়েছে। এবং সর্বশেষ ও ইউনিক যে বিষয়টা আমাদের আছে ‘নো আস্ক রিটার্ন পলিসি’,
তিনি জানান, আপনার যদি কোনো পণ্য অর্ডার করার পর পছন্দ না হয়, বা পণ্যটি শতভাগ কোয়ালিটি সম্পন্ন না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ টাকা রিফান্ড পাবেন। এ ছাড়াও পণ্য প্যাকেজিং বা ডেলিভারির সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে, জানানো মাত্রই গ্রাহক সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত পাবেন, অথবা গ্রাহকের পণ্যটি পরিবর্তন করে নতুন পণ্য সরবরাহ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সব পণ্যসামগ্রী, গৃহস্থালি পণ্য, মাছ-মাংস ছাড়াও থাকছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির প্যাকেটজাত পণ্য, শিশুখাদ্য, বিস্কুট, চকলেট, চিপস ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে ফ্যাশন এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য, টয়লেট্রিজ সামগ্রী, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই, অক্সিমিটার, ডায়াপার, স্যানিটারি প্যাড ইত্যাদি। মূলত, চলমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সব পণ্য সহজেই ইঅরেঞ্জে পাওয়া যাচ্ছে।
ইঅরেঞ্জের সিওও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য কাস্টমার সার্ভিসের দিক থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া এবং একই সঙ্গে একটি অন্যতম মার্কেট লিডিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইঅরেঞ্জের ডেলিভারি সার্ভিস ২৪ ঘণ্টা কার্যকর আছে। দ্রুত সময়ে, সঠিক দামে নানারকম পণ্য অর্ডার করা মাত্রই পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। সেই সঙ্গে কাস্টমার ফিডব্যাক এবং রিটার্ন পলিসি থাকার কারণে সাইটটি অন্য যে কোনো সাইট থেকে একটি অনন্য অবস্থানে আছে।
ইঅরেঞ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.eorange.shop/
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর