নাটোরের বড়াইগ্রামের ফুলবতি গ্রামে স্ত্রীকে লাঞ্চিত করায় আত্মহত্যা করেছে এক স্বামী। ওই ব্যক্তির নাম ইমরান হোসেন মছের (৩৫)।
জানা গেছে, স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষিকার স্বামীর কাছে সম্প্রতি লাঞ্চিত হন তার স্ত্রী। আর এর জেরেই ইমরান অপমানে আত্মহত্যা করেছেন।
রবিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ইমরান হোসেন মছের ফুলবতি গ্রামের শমসের আলী মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ইমরান হোসেনের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম কিছুদিন আগে তার বড় মেয়েকে ফুলবতি ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি করেন। কিন্তু ঠিকমত লেখাপড়া না হওয়ায় তিনি মেয়েকে সেখানে পড়াতে আপত্তি জানান। এ বিষয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকার স্বামী একই গ্রামের মেহেদী হাসান আঞ্জুয়ারা বেগমকে চড়-থাপ্পড় মারেন।
শনিবার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জেনে মছের তার বড় ভাই ইউনুস আলীকে জানান। কিন্তু তিনিও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকেই তিরস্কার করেন। স্ত্রী লাঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভে অভিমানে রাতেই তিনি ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খান। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তিনি মারা যান।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি শাহরিয়ার খান জানান, নিহতের পোষ্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান