নাটোরে শীতের তীব্রতা না বাড়লেও জেলার লেপ-তোষকের কারিগররা এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে। শহরের নিচাবাজার, আলাইপুর ও ষ্টেশন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আনাগোনায় লেপ-তোষকের দোকানগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে।
কারিগররা জানান, একটি লেপ তৈরিতে ২ জন কারিগরের সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে ২ থেকে ৩টি লেপ তৈরি করতে পারেন। শীত নামতেই লেপ-তোষক কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় লেগে যাবে। সে কারণে আগাম লেপ-তোষক তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অসংখ্য কাজের অর্ডার নেয়া হয়েছে।
লেপ-তোষক তৈরি করতে তুলাসহ যেসব মালের প্রয়োজন হয় তার দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। একটি মাঝারি সাইজের লেপ তৈরি করতে ৪ কেজি তুলার প্রয়োজন। প্রতি কেজি তুলার দাম ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। ১০ গজ কাপড়ের দাম ৩৫০ টাকা থেকে শুরু। শ্রমিক মজুরি বাবদ ৩৫০ টাকা ও কভার সেলাই খরচ লাগে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। সব মিলিয়ে একটি লেপ তৈরি করতে দেড় হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়।
কারিগর আসলামু জানান, শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরি করার জন্য সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে ।
তুলা ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, শীত মৌসুমের পুরো তিন মাস কারিগরদের লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে হয়। সারা বছর কাজ থাকলেও নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে। তাই এসময় অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিতে হয়। লেপ-তোষক তৈরির সামগ্রী ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার