বরিশালের আগৈলঝাড়ার রাংতা গ্রামে দাবিকৃত যৌতুক না দেয়ায় গৃহবধূ নুপুর বেগমকে (২২) নির্যাতন করে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আজ বরিশাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার এই ঘটনার পর নুপুরের শ্বশুড়-শাশুড়িসহ পরিবারের সকলে পালিয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে নুপুরের বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নুপুরের পারিবারিক সূত্র জানায়, আড়াই বছর আগে আগৈলঝাড়ার রাংতা গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে কাঠমিস্ত্রী নজরুল হাওলাদারের সাথে গৌরনদীর উত্তর চাঁদশী গ্রামের আক্কাস সরদারের মেয়ে নুপুরের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই মাসের একটি শিশু রয়েছে। স্বামী নজরুলের যৌতুক বিরোধীতার পরও বিয়ের পর থেকে তার বাবা হালিম হাওলাদার, শাশুড়ি মাহিনুর বেগম ও দেবর ফরহাদ তিন লাখ টাকা এবং তিন ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দাবি করে আসছিল নুপুরের পরিবারের কাছে। যৌতুক না দেয়ায় নুপুরের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত ওই তিনজন। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও শরীরিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি নুপুর।
নুপুরের বাবা আক্কাস সরদার জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে নজরুল কাজে যাওয়ার পর শ্বশুড়সহ পরিবারের সদস্যরা দাবিকৃত যৌতুক এনে দেয়ার জন্য নুপুরের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নুপুরের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালে সে মারা যায়। এরপর নুপুরের লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিয়ে তারা সকলে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার এসআই আনিচুর রহমান জানান, নুুপুরের বাবা আক্কাস সরদার বাদী হয়ে শ্বশুড়, শাশুড়ি ও দেবরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বরিশাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার