বাগেরহাটের গ্রামীণ অবকাঠোমো রাস্তার সংষ্কার কাজ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) ৩২টি প্যাকেজের অধীনে প্রায় ২০ কোটি টাকার আহ্বান করা দরপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি।
এলজিইডি’র আহ্বান করা দরপত্রে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বর্তমান বাজার দর থেকে বেশি হওয়ায় তারা দরপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে। এই নিয়ে সংগঠনটি দ্বিতীয় বারের মতো এলজিইডি’র ওই দরপত্রে অংশ নেননি। মঙ্গলবার এই আহ্বান করা দরপত্র জমার শেষদিন ছিল। কিন্তু এই দরপত্রে কোন ঠিকাদারই প্রতিষ্ঠানই অংশ নেয়নি।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একই অভিযোগে তারা দরপত্রে সিডিউল জমা দেননি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) ৩২ টি প্যাকেজের অধীনে প্রায় ২০ কোটি টাকার আহ্বান করা দরপত্রের অনুকুলে সিডিউলমূল্য ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা, সর্বনিমম্ন এক হাজার টাকা।
বাগেরহাট জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব আব্দুর রব সরদ বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দামের সাথে এলজিইডি’র আহ্বান করা দরপত্রের মিল নেই। তাই এই কাজে অংশ নিলে ঠিকাদারদের আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আমরা কেউ সিডিউল ক্রয় করিনি। আমরা ঠিকাদারদের নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি’র অধীনে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো দু’দফায় এলজিইডি’র দরপত্রে অংশ নেয়নি। বর্তমান বাজার দরের সাথে সমন্বয় করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার দাবি জানান ওই নেতা।
বাগেরহাট এলজিইডি’র জেষ্ঠ্য সহকারি প্রকৌশলী ও দরপত্র আহ্বান কমিটির সভাপতি মো. আবু কামাল বলেন, বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠোমো রাস্তা সংষ্কার কাজ করতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৩২টি প্যাকেজের ২০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই সময়ে বাগেরহাটের বাইরের পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাতে অংশ নেয়। কিন্তু দরপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময়ে কাগজপত্র ঠিক না থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর আমরা ডিসেম্বরের চলতি সপ্তাহে একই কাজের জন্য দ্বিতীয় বারের মতো দরপত্র আহ্বান করি। কিন্তু এবার কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই এই দরপত্রে অংশ না নেওয়ায় তা দ্বিতীয়বারের মতো বাতিল হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই কাজের জন্য তৃতীয় বার দরপত্র আহ্বান করা হবে। এতে যদি কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ না নেয় তাহলে নিয়ম অনুযায়ি বাগেরহাটের নয়টি উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠোমো রাস্তা সংষ্কারের জন্য রাজস্বখাত থেকে বরাদ্দ হওয়া ২০ কোটি টাকা অন্য জেলার উন্নয়ন কাজের জন্য ফেরৎ যাবে। এতে বাগেরহাটবাসী উন্নয়ন বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করছেন ওই কর্মকর্তা। বাগেরহাটের ঠিকাদাররা এই প্রথম কোন কাজের দরপত্রে অংশ না নেওয়ায় আমি বিস্মিত হয়েছি।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান