'খুলনার ৭টি সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না' তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে গত ২১ ডিসেম্বর প্রথমবার ঘোষণা করা ফলাফলের ভিত্তিতে কেন স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না-জানতে চাওয়া হয়েছে।
সরকারি স্কুলের ভর্তি কমিটির সভাপতি খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান এবং খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হাইকোর্টের রিট পিটিশন-১৮৯২৪/১৭ এর জবাবে বিচারক শেখ হাসান আরিফ এবং ভীস্ম দেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী তপন কুমার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শেখ ওবায়দুল ইসলামসহ ১৭ জন অভিভাবক হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খুলনার ৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল ২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। এরপর অনলাইনে আপলোডে ত্রুটি হয়েছে জানিয়ে মধ্য রাতে ওই ফলাফল স্থগিত করা হয়। এর ২২ ঘণ্টা পর ২২ ডিসেম্বর রাতে দ্বিতীয় দফায় ফল ঘোষণা করে ভর্তি কমিটি।
এদিকে, এই ফল প্রকাশ নিয়ে ভর্তি কমিটি অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিভাবকরা ভর্তি পরীক্ষায় পূর্বের ঘোষিত ফল বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা