জামালপুরের সরিষাবড়িতে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ উপয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে উপজেলার নরপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নুরুল ইসলামে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ৬ মাস আগে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নুরুল ইসলামের পক্ষের জাহিদ হোসেন নামে ১ জন ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ হত্যা মামলার আসামিরা এক সপ্তাহ আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসে।
শুক্রবার সকালে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি ১০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এতে ১০টি বসত বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উভয়পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ চলতে থাকলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে নুরুল ইসলামের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ ১০ রাউন্ড ছররা গুলি ছোঁড়ে। এতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, নুরুল ইসলাম, জনি মিয়া, আকতার হোসেন ও কাওসার।
এছাড়া সংঘর্ষে ইউসুফ, মোস্তফা, সাদ্দামসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউসুফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরিষাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম